সংসদ নির্বাচন নিয়ে চক্রান্তের শেষ কোথায়?

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী | শনিবার , ৪ মে, ২০২৪ at ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ

কথিত বিরোধী দলগুলো অনবরত গণতন্ত্রের বুলি আওড়ালেও অন্তরে কতটুকু ধারণ করে তা আদৌ বোধগম্য নয়। ক্ষমতায় আরোহণে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ না করে দলগুলোর বিরুদ্ধে সবসময় অন্যশক্তির উপর নির্ভর করার অভিযোগও রয়েছে। গণতন্ত্রের বিকাশমানতায় বহু দলের অস্তিত্ব থাকা যেমন জরুরি, তেমনি দলনেতাকর্মীদের আচারআচরণে পারস্পরিক আস্থাবিশ্বাসযোগাযোগ প্রভৃতির প্রচলন একান্তই প্রয়োজন। দলগুলোর মধ্যে নানান বিষয়ে ভিন্নমত থাকাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। তাদের মতভিন্নতা পারষ্পরিক আলাপআলোচনা এবং সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে প্রশমন সম্ভব। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণই সর্বময় ক্ষমতার উৎস। অবাধসুষ্ঠুনিরপেক্ষ বিরাজিত পরিবেশে জনগণের যথাযথ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে অধিকাংশের রায়ের ভিত্তিতে সরকার কাঠামো গঠন প্রত্যাশিত পরিক্রমা। ধর্মবর্ণদলমতনারীপুরুষঅঞ্চল নির্বিশেষে প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের ন্যায্য অধিকার প্রয়োগে নির্ধারিত সময়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত। সৎযোগ্যমেধাপ্রজ্ঞাদেশপ্রেমে ঋদ্ধ ও জনগণের স্বার্থ সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ পরীক্ষিত নেতৃত্বকেই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করা নাগরিকবৃন্দের সাংবিধানিকনৈতিক দায়িত্ব। উন্নতউন্নয়নশীলঅনুন্নত বিশ্বের সকল দেশসমূহে সরকার পরিবর্তনের প্রচলিত নিয়ম একই প্রবাহে সঞ্চারিত।

আমাদের সকলের জানা, দেশিবিদেশি নানামুখী অশুভ অপতৎপরতা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিপুল কৌতুহল তৈরি করেছিল। নির্বাচনসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিশ্বের কতিপয় দেশসমূহের অতিমাত্রায় উৎসাহী এবং নির্বাচনকেন্দ্রীক কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কর্মযজ্ঞে অবাঞ্চিতঅনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপও ছিল প্রবল অনুভূত। হীন স্বার্থ চরিতার্থে দেশসমূহের এমন অপতৎপরতা সচেতন মহলসহ আপামর জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর নির্বাচনী প্রচারণা আপামর জনগণকে নির্বাচনমুখী করার অসাধারণ পরিবেশ তৈরি করেছিল। কতিপয় বিরোধী দল বা জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণে অনীহা প্রকাশ সত্ত্বেও ঘোষিত তফসিলে বর্ণিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিভিন্ন দলজোট প্রার্থী মনোনয়পত্র সংগ্রহজমাদানযাচাইবাছাইপ্রতীক বরাদ্দসহ ইত্যকার বিষয়গুলো সুসম্পন্ন করে। একদিকে দলের ও অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমাদানের মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রতিযোগিতাপ্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন পরিলক্ষিত হয়। দেশব্যাপী দলীয়জোটভুক্তস্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজস্ব প্রচারপ্রচারণায় নানামুখী ইতিবাচক কৌশল গ্রহণ করেন। প্রধান প্রধান সড়ক, পাড়ামহল্লায় অলিতে গলিতে প্রার্থীদের পোস্টার ঝুলানোর দৃশ্যাদৃশ্যে তৈরি হয় বিপুল আনন্দউৎসবের আমেজ। গ্রামনগরশহরের সর্বত্রই নির্বাচনী ডামাডোল বেজে উঠে। চায়ের দোকানের আড্ডা থেকে শুরু করে প্রায় প্রতিটি লোকসমাগম ছিল নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় অত্যন্ত সরগরম। জনগণের আস্থা অর্জনে প্রত্যেক প্রার্থী স্ব স্ব উদ্যোগে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান।

স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে দেশিয়আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গ্রহণযোগ্যঅর্থবহ করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীপ্রশাসনিক কর্মকর্তা ও প্রয়োজনীয় লোকবলের রদবদলসহ গৃহীত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সর্বমহলে প্রশংসিত। দেশিবিদেশি সমালোচনার জবাব দিতে কঠোর থেকে কঠোরতর হয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানাবিধ উত্থাপিত অভিযোগে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণসহ ছাড় দেওয়া হয়নি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদেরও। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের দিনে সকালে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর যাবতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করে। দেশবাসী ও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বৈশ্বিক অংশীজনদেশদাতাসংস্থার পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা হয়। ধারাবাহিকতায় ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা পরিপত্রগুলোতে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্যভাবে সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় কর্মকৌশল এবং বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত দায়িত্ব পালনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।

পরিপত্র অনুযায়ী, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকে। ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্যান্য আইনের বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম পরিচালিত হয়। রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা বা থানায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের কর্মসূচি নেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনী অন্যান্য আইন প্রয়োগকারীর সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করে। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ও স্বচ্ছন্দে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে, সেজন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ভ্রাম্যমাণ ইউনিটগুলো নিবিড় টহলের ব্যবস্থা করে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং যেকোনো প্রকার বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে সদা সজাগ থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। নির্বাচন কমিশনের সূত্রমতে, বিগত সংসদ নির্বাচনে ৫ লাখ ১৬ হাজার আনসার সদস্য, ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য, ২ হাজার ৩৫০ কোস্ট গার্ড সদস্য এবং ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করে।

কতিপয় বিরোধী দল বা জোট নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানানো সত্ত্বেও নির্বাচনি পরিবেশ ছিল অসাধারণ আনন্দ মুখর। গণমাধ্যমে প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুসারে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনের বিপরীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্রসহ মোট ২ হাজার ৭১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে নিবন্ধিত ২৯টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ১ হাজার ৯৬৬ জন এবং ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। উল্লেখ্য পরিসংখ্যান অনুসারে মোট প্রার্থীর এক চতুর্থাংশই স্বতন্ত্র এবং প্রতি আসনে গড় প্রার্থীর সংখ্যা ৯ জন। বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর পদচারণায় দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে উঠে গণতন্ত্র সুরক্ষার অনুপম উপমা। নানামুখী অরাজকতাঅস্থিরতাকে সংহার করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দৃশ্যমানতা অধিকতর অনুপ্রেরণার দৃশ্যপট তৈরি করেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়ানোই ছিল নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। কিছু সংখ্যক সরকারবিরোধী দলের ভোট বর্জন ও আন্দোলনের মুখে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ এবং দেশেবিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে কমিশনের লক্ষ্য ছিল অবিচল। দেশিবিদেশি অবৈধঅনৈতিক মনস্তাত্ত্বিক চাপ, কতিপয় বিরোধীদল সমূহের ভোট বর্জন, নাশকতাঅরাজকতানৈরাজ্য, বাসট্রেনগণপরিবহনে আগুন সন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, ভোটকেন্দ্রক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ, দলের বিরুদ্ধে দল, প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রার্থীর কটুক্তিকুৎসা, দাঙ্গাহাঙ্গামার বিপরীতে ৭ জানুয়ারি ২০২৪ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সুসম্পন্ন হয়। অবাধনিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে দলীয় সরকারের পক্ষ থেকে অঙ্গীকার প্রকাশ অনেকটুকু সংশয়সন্দেহের বশবর্তী ছিল। স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত সফল ও সার্থকতার সাথে দৃঢ়চেতা মনোভাবের বর্হিপ্রকাশে দেশে অবস্থানরত সকল পর্যবেক্ষকদের বিবেচনায় সন্তোষজনকগ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহারে সক্ষমতা প্রমাণ করে। নির্বাচনপূর্ব সকল প্রকার অপপ্রচারগুজবগুঞ্জনচক্রান্তষড়যন্ত্র ইত্যাদি পরাভূত করে প্রায় ৪২ শতাংশ জনগণের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচন নতুন মাইলফলক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত।

যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া, ওআইসি, আরব পার্লামেন্টসহ আরো কয়েকটি দেশজোটের বিদেশি পর্যবেক্ষকরা ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় ভোট অবাধসুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন। তাঁরা ভোটের পরিবেশের প্রশংসার পাশাপাশি ভোটের পদ্ধতিকে অন্য দেশের জন্য অনুসরণীয় বলেও আখ্যা দেন। পরবর্তীতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অকুন্ঠ সমর্থনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল মনোভাবাপন্ন দলব্যক্তির সমন্বয়ে সরকার গঠনে জনগণ ও গণতন্ত্রের বিজয় ঘোষিত হয়। টানা চারবারের মতো সরকার গঠনের সাফল্যে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন উন্নতউন্নয়নশীল দেশদাতা ও সহযোগী সংস্থার পক্ষ থেকে সরকার প্রধান দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভিনন্দনে পুষ্পিত করেন। আগামী দিনে দেশের সমৃদ্ধির পথে একযোগে কাজ করার তাদের সর্বাত্মক প্রতিশ্রুতি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

দুঃখজনক হলেও সত্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ফলাফল নিয়ে এখনও নির্বাচন বিরোধী দেশিবিদেশি অপশক্তির অভিশপ্ত চক্রান্তষড়যন্ত্র নানাভাবে দৃশ্যমান। দেশবিধ্বংসী স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত অন্ধকারের শক্তির যোগসাজশে নির্বাচন বানচাল বা সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় অন্তরায় সৃষ্টিতে এদের অপকর্মের অন্ত ছিল না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কদর্য পরাশক্তির অযাচিত মন্তব্যহস্তক্ষেপ দেশবাসীকে যারপরনাই মর্মাহত করেছিল। উন্নত বিশ্বের বহু গণতান্ত্রিক দেশে মানবাধিকার পদে পদে লঙ্ঘিত হলেও মানবাধিকার সুরক্ষায় সোচ্চার পশ্চিমা দেশসমূহ আরববিশ্বসহ এশিয়াআফ্রিকার দেশসমূহে অবর্ণনীয় বর্বরতা তৈরি করে চলছে। গাজায় গণহত্যাকে অধিকমাত্রায় উৎসাহিত করা তাদের মানবাধিকারে বিশ্বাস কত ঠুনকো তা আজ প্রমাণিত। এসব ঘৃণ্য অপশক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় দেশবিরোধী শক্তিগুলো এখনও জনগণকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। কী স্বার্থে সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তার সত্যবস্তনিষ্ঠ বিশ্লেষণ অতীব জরুরি। মোদ্দাকথা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যসূত্রে এবং কথিত বিরোধী দলসমূহের সরকার পতনের হুংকার জনগণের কাছে কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। নানাবিধ আর্থসামাজিক বৈশ্বিক সংকটে নিমজ্জিত বাংলাদেশে সাধারণ জনগণ শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সাবলীল জীবন প্রবাহ সচল রাখতে চায়। যেকোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিতঅবাঞ্চিত পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা তারা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জনগণের পক্ষ থেকে এটুকু দাবি করা মোটেও অযৌক্তিক নয়।

লেখক : শিক্ষাবিদ, সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধহল্যান্ড থেকে
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক কর্মশালা