হত্যার আসামি রবিউলই দুবাইয়ের আরাভ খান, বলছে পুলিশ

| বৃহস্পতিবার , ১৬ মার্চ, ২০২৩ at ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি পলাতক রবিউল ইসলামকে নিয়ে আবার তোলপাড় শুরু হয়েছে। ‘আরাভ জুয়েলার্স’ নামে একটি গয়নার দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দেশের বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন তারকা দুবাই গেছেন। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, ওই দোকানের মালিক আরাভ খানই পুলিশ ইন্সপেক্টর মামুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রবিউল ইসলাম। তাকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সাহায্য নেওয়া হবে জানিয়ে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ওই রবিউল এখন দুবাইয়ে অবস্থান করছেন ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে, যেখানে তার নাম লেখা আরাভ খান।’ খবর বিডিনিউজের।

রবিউলের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার হিরন ইউনিয়নে। স্থানীয়রা বলছেন, তার পিতৃপ্রদত্ত নাম ‘সোহাগ মোল্লা’। বিভিন্ন সময় তার খোঁজে এলাকায় পুলিশ গেছে। ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যার পর সেই মামলাতেও পুলিশ তাকে খুঁজতে এলাকায় যায়। তখনই জানা যায়, ওই সোহাগই ঢাকায় রবিউলসহ বিভিন্ন নাম নিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইল ও প্রতারণা’ করে বেড়াচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন পরিচয়ে বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছেন বলেও স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ভাষ্য।

এসবির পরিদর্শক মামুন ইমরান খান ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বন্ধু রহমত উল্লাহ সঙ্গে বনানীর একটি বাসায় গিয়ে খুন হন। পরদিন তার মৃতদেহ বস্তায় ভরে উলুখোলার জঙ্গলে নিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পোড়ানো হয় অপরাধের চিহ্ন গোপন করার জন্য। মামলার তদন্ত শেষে পরের বছরের এপ্রিলে অভিযোগপত্র দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেই অভিযোগপত্রে বলা হয়, রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে বিত্তবানদের ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করত একটি চক্র। তাদের লক্ষ্য ছিল রহমত উল্লাহকে আটকে ‘অশালীন’ ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করা। সেজন্য ওই চক্র জন্মদিনের নাটক সাজিয়ে রহমতকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল বনানীর এক বাসায়। বন্ধু রহমতের সঙ্গে সেখানে গিয়ে হত্যার শিকার হন পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমধ্য হারুয়ালছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংবর্ধনা
পরবর্তী নিবন্ধকাল স্বাধীনতা মেলা শুরু