সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প কাজ শুরুর উদ্যোগ

চসিক ।। ৫০ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান ।। ৭০ কোটি টাকায় নিয়োগ দেয়া হচ্ছে পরামর্শক

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১২ মে, ২০২২ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের চার মাস পর নগরের সড়ক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে গৃহীত প্রকল্পটির কাজ শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এর অংশ হিসেবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ৭০ কোটি টাকায় পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করছে সংস্থাটি। এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০ কোটি টাকায় ১১টি লটে প্রকল্পভুক্ত বিভিন্ন সড়ক উন্নয়নে ঠিকাদার নিয়োগে দরপত্র আহ্বান করা হবে। চলতি বর্ষা মৌসুমের মধ্যেই ঠিকাদার চূড়ান্ত করার লক্ষ্য ঠিক করেছে সংস্থাটি। যাতে শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়া মাত্রই কাজ শুরু করা যায়।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ম্যাচিং ফান্ডের শর্ত ছাড়াই চসিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ প্রকল্পটি গত ৪ জানুয়ারি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। তবে চসিকে প্রকল্প অনুমোদনের জি.ও ( সরকারি আদেশ) দেয়া হয় ১৩ মার্চ। ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়কসমূহ উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৪৯০ কোটি ৯৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। প্রকল্পটিতে সম্পূর্ণ অর্থায়ন করবে সরকার। জি.ও অনুযায়ী প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয় ২০২২ সালের ১ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম মানিক দৈনিক আজাদীকে বলেন, ১১টি উপ-প্রকল্পের দরপত্র আহবান করেছি। দুই ভাগে তা বৃহস্পতিবার (আজ) ও শুক্রবার (আগামীকাল) পত্রিকায় প্রকাশিত হবে। এছাড়া দুয়েকদিনের মধ্যে পরামর্শক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হবে। এ প্রকৌশলী বলেন, চলতি অর্থ বছর তো আর বেশি দিন নাই। আগামী অর্থবছরসহ মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করার পরিকল্পনা আছে। আমরা চাচ্ছি বর্ষা মৌসুমের মধ্যেই দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করা। যাতে বর্ষা শেষ হওয়া মাত্র পুরোদমে কাজ শুরু করা যায়। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে শহরের আনাচে-কানাচে সব সড়কে উন্নয়ন কাজ হবে।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় বিমানবন্দর সড়ককে চার লেনে উন্নীত করার পাশাপাশি ৬০০ মিটার ওভারপাস নির্মাণ করা হবে। ওভারপাস নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৮৪ কোটি টাকা। এছাড়া দুই হাজার ১০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকায় নগরের ৭৬৯ কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন, ৫৬ কোটি টাকায় ২২৪ মিটার করে ১৪টি ব্রিজ, ৫৮ কোটি টাকায় ১৫২০ মিটার করে ৩৮টি ফুট ওভারব্রিজ, ১৪ কোটি টাকায় ৮৭ মিটার করে ২২টি কালভার্ট নির্মাণ, ১২ কোটি টাকায় ১০টি গোল চত্বরের উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকায় ১৫টি নির্মাণ যন্ত্রপাতিও ক্রয় করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিশুদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করুন : প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬