ছেলেটি চেয়েছিল একটি স্ফুলিঙ্গ মন।
বারুদের মত যে চুপচাপ বেঁচে থাকে
আতশ বাজির পাঁজরে।
কোন এক সন্ধ্যায়, অন্ধকারের নান্দনিকতায়,
সশব্দে তার হীরণ্ময় ভালোবাসা জানান দিয়ে যায়
আকাশের হাটে।
জোনাকি ফুলের মত,
প্রেমিকের ঠোঁটে, চুমুর উষ্ণতায়,
সিগারেটের সুখটানে সে নিজেকে জ্বালায়, নেভায়।
ভালোবেসে বেসে,
ছাই হয়ে ওড়ে বেওয়ারিশ ধূলিকাণার মত।
ছেলেটি চেয়েছিল
ভীষণ ভালোবাসার অনুকম্পনে
তার হৃদপিণ্ডের অলিন্দে হোক অগ্নুৎপাত
আর ভালোবাসার স্ফুলিঙ্গ লাভায় প্লাবিত হোক নিলয়ের বন্দর।
উনুনের আঁচের মত,
ভালোবেসে সপ্রতিভ লহমায়,
প্রকাশ করুক প্রেমের ঐশ্বর্য!
স্ফুলিঙ্গ মন চেয়ে,
সে খুঁজে পেল একজোড়া রক্তজবা চোখ!
পৃথিবীর সমস্ত সমস্ত প্রেম টেনে নিয়ে সে,
রঞ্জন রশ্মির মত মুহূর্তেই যেন আবিষ্কার করে নেয়
হৃদয়ের ছবি।
থামিয়ে দেয় জ্বালামুখ,
থেমে যায় চকমকি লাভার ধেয়ে আসা চঞ্চলতা।
একজোড়া চোখে
ভষ্ম হতে হতে সে খুঁজে পায়
স্ফুলিঙ্গের স্থাবর, জঙ্গম,
সর্বস্ব!