স্ট্র্যান্ড রোডে হেলে পড়েছে তিন ভবন

খোলা আকাশের নিচে ১৫ পরিবার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীর সদরঘাট থানাধীন স্ট্র্যান্ড রোডের পার্বতী ফকির পাড়া এলাকায় একটি মন্দির, তিনটি ভবন হেলে পড়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি কাচা ঘর ধেবে গেছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে এ ঘটনা ঘটলেও রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। হেলে পড়ার কারণে ভবন দুটির প্রায় ১৫টি পরিবার এখন খোলা আকাশের নীচে অবস্থান নিয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে পাশের একটি খালে কোন নিরাপত্তা ছাড়াই রিটেইনিং ওয়াল করার জন্য মাটি খুড়লে পাশের ভবনগুলো হেলে পড়ে। রাত সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থার লোকজন অবস্থান করছে।
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার এনামুল হক বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টার দিকে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিল্ডিংগুলো রেকি করেছি। এতে দুইটি ভবন হেলে গেছে। পাশে একটি মন্দিরও রয়েছে।’
সরেজমিন দেখা গেছে, পার্বতী ফকির পাড়ায় সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে পাশের খালের রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কাজ করছে। অসতর্কভাবে পাইলিং কাজ করার সময় পাশের লাগোয়া ভবনগুলো হেলে পড়ছে। ঘটনাস্থলে কথা হলে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবনের মালিক সন্তোষ দাশ বলেন, ‘গত দুই তিন বছর ধরে খালে ওয়াল নির্মাণের কাজ করছে। সোমবার সকালে কোন সাপোর্টিং ছাড়াই ওয়াল নির্মাণের জন্য স্কেভেটর দিয়ে মাটি খোড়া শুরু করে। পরবর্তীতে আমার ভবনটি ধসে যায়। আমার ভবনটি নতুন। করেছি মাত্র দুই বছর হয়েছে। গত এক বছর আগেও একটি তিন তলা ভবন ধসে পড়ে গেছে। ’
ক্ষতিগ্রস্ত আরেক ভবন মালিক স্বপন কুমার দাশ বলেন, ‘আমার ভবনটি তিন তলার। গত বছর আমাদের পেছনের রাজমোহন দাশের ভবনটি ভেঙে পড়ে যায়। খালের পাইলিং করার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এখানে জগন্নাথ মন্দিরও ধেবে গেছে। ধেবে যাওয়া ভবন দুটিতে ১৫টি পরিবার রয়েছে।’ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মহিলারা বলেন, আমরা সকালে ঘর থেকে আসবাসপত্র সরিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছি। এখন খোলা আকাশের নীচে আছি।
রাত সাড়ে ১২টায় ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘খাল খনন করার সময় অতি গভীর করে মাটি কাটা হয়েছে। এতে দুইটি ভবন, মন্দির ও কয়েকটি কাচা ঘর ধেবে গেছে। ভবনগুলো থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধআঁখির স্বামী কারাগারে
পরবর্তী নিবন্ধচলে গেলেন শহীদজায়া মুশতারী শফী