স্কটল্যান্ডের প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসেফ

| বৃহস্পতিবার , ৩০ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতৃত্বের লড়াইয়ে আগেই জিতেছেন। এবার স্কটিশ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়ে স্কটল্যান্ডের নতুন ফার্স্ট মিনিস্টার হয়েছেন হামজা ইউসেফ। এসএনপির ৩৭ বছর বয়সী এই নেতা এখন স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ফার্স্ট মিনিস্টিার। একইসঙ্গে তিনিই প্রথম মুসলিম যিনি যুক্তরাজ্যের একটি বড় ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন। খবর বিডিনিউজের।

বিবিসি জানায়, মঙ্গলবারের ভোটে ইউসেফ তার দল এসএনপির সব এমএসপিএস এবং স্কটিশ গ্রিন্স পার্টির সমর্থন পেয়ে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করেন। ইউসেফের সঙ্গে তিন বিরোধী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তাদের জয়ের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কারণ, ১২৯ আসনের পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির ৬৪টি ও গ্রিনদের সাতটি ভোট পাওয়ায় ইউসেফের জয় অনেকটা নিশ্চিতই ছিল। আধাস্বায়ত্তশাসিত স্কটল্যান্ডে দুই দলের ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি আছে।

ইউসেফ স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ ফার্স্ট মিনিস্টার যিনি নিকোলা স্টার্জনের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। স্কটল্যান্ডের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা প্রথম ফার্স্ট মিনিস্টারও তিনি। পাকিস্তানি বাবা আর কেনীয় মায়ের সন্তান ইউসেফের জন্ম গ্লাসগোতে।

ফার্স্টমিনিস্টার হওয়ার পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ফোন করে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে জানায় বিবিসি। ফোনে ঋষি সুনাক বলেছেন, তিনি স্কটিশ সরকারের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ চালিয়ে যেতে চান। ফোনালাপে ইউসেফ স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রশ্নে দ্বিতীয়বার গণভোটের আয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বলে জানায় বিবিসি। তবে প্রধানমন্ত্রী সুনাক তাকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, এটা স্কটল্যান্ড জুড়ে মানুষের জন্য অগ্রাধিকারের তালিকায় যেসব জিনিস শীর্ষে রয়েছে সেগুলো সরবরাহ করার কাজ থেকে সরকারকে বিক্ষিপ্ত করবে।

পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত হওয়ার পরপরই নিজের দল গোছানোর কাজে নেমে পড়েছেন ইউসেফ। স্টার্জেনের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং তার সরকারের স্যোসাল জাস্টিস সেক্রেটারি শোনা রবিসনকে নিজের ডেপুটি করেছেন ইউসেফ। একইসঙ্গে ইউসেফ ঘোষণা করেছেন, তিনি তার সরকারে স্বাধীনতার পক্ষের ফার্স্ট মিনিস্টার থাকবেন। নির্বাচনী প্রচারের সময়ও তিনি একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এদিকে, মঙ্গলবার ভোরেই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠান স্টার্জেন। আট বছরের বেশি সময় তিনি স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টারের দায়িত্ব পালন করেছন। গত মাসে খানিকটা হুট করেই স্টার্জেন তার পদত্যাগের ইচ্ছার কথা ঘোষণা করেন। স্থানীয় সময় বুধবার এডিনবরায় ‘দ্য কোর্ট অব সেশন’ এ সংক্ষিপ্ত আয়োজনে নতুন ফার্স্ট মিনিস্টার হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন ইউসেফ।

তারপর তিনি তার মন্ত্রিসভার বাকি সদস্যদের নিয়োগ দেবেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ‘ফার্স্ট মিনিস্টার্স কোশ্চেন্স সেশনে’ তিনি প্রথমবারের মত বিরোধী দলের নেতাদের মুখোমুখি হবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেই কাটা হাত এক নারীর
পরবর্তী নিবন্ধএনআইডি-জন্মনিবন্ধন তৈরি চক্রের তিন সদস্য আটক