বর্ষীয়ান রাজনীতিক, সংসদ উপনেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী আর নেই। গতকাল রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (সিএমএইচ) তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের এই কাণ্ডারী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। ছিলেন ফরিদপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের সঙ্কটকালীন সময়ে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। উচ্চ রক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে অগাস্টের শেষের দিকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সোমবার সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সাজেদা চৌধুরীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জোহর মরদেহ নেওয়া হবে তার নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দায়। এরপর লাশ ঢাকায় ফিরিয়ে এনে বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জননী সাজেদা চৌধুরীর স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরী ২০১৫ সালে মারা গিয়েছিলেন।
সাজেদার জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ মে, ১৯৬৯ সালে তিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন, তখন কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর আওযামী লীগের দুঃসময়ে দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাজেদা। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে দেশে ফেরার পর তার সঙ্গেও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ২০১০ সালে সাজেদা চৌধুরী স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।
