সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে স্পিডবোট ডুবি, শিশুসহ উদ্ধার ১৯

টেকনাফ প্রতিনিধি | শনিবার , ৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফসেন্টমার্টিন নৌরুটের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে সেন্টমার্টিনের কামাল হোসেনের মালিকানাধীন একটি স্পিডবোট ডুবে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলেরা শিশুসহ ১৯ যাত্রীকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ৭ জন টেকনাফের রাজমিস্ত্রি ও ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা। এছাড়া অপর দুইজন স্পিডবোটের চালক ও সহকারী। গতকাল শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টায় সময় টেকনাফসেন্টমার্টিন নৌরুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই দুর্ঘটনায় ৩ শিশুসহ ১৯ যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে যাত্রীবাহী আর একটি স্পিডবোট ও স্থানীয় জেলেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাগরে ভাসতে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় আমার পরিষদের এক গ্রাম পুলিশও ছিল। তবে উদ্ধার হওয়াদের নাম ও পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নুরুল হক বলেন, ৩ শিশুসহ ১৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। স্পিডবোটটি নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে পৌঁছলে বড় ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায়। এতে স্পিডবোটে থাকা যাত্রীরা পানিতে ভাসতে থাকে। অদক্ষ ড্রাইভারের কারণে এ দুর্ঘটনা হয়েছে। আমিও সাগরে দুইটি বাচ্চা নিয়ে ১ ঘণ্টা ভেসে ছিলাম। পরে স্থানীয় জেলেরা ও অন্য একটি যাত্রীবাহী স্পিডবোট আমাদেরকে উদ্ধার করে।

সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, স্পিডবোডটি আমাদের সমিতির নয় এবং উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিবিহীন। সেন্টমার্টিনের জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অনুমোদনহীন ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে কয়েকটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যাত্রী পরিবহন করে আসছে। এই স্পিডবোটগুলো অনেক সময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহার করে থাকে। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি অনুমতিবিহীন কোন স্পিডবোট যাতে সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচল করতে না পারে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরীর বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈসাবির রং লেগেছে পাহাড়ে
পরবর্তী নিবন্ধব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বাড়তি নিরাপত্তা