বৈসাবির রং লেগেছে পাহাড়ে

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | শনিবার , ৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে বৈসাবি উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। উৎসবকে কেন্দ্র করে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনন্সস্টিটিউট। গতকাল শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি জেলা টাউন হলে বৈসাবি শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। শোভাযাত্রাটি টাউন থেকে শুরু হয়ে শহরের মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে হয়। শোভাযাত্রায় নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে অংশ নিয়েছে নারী, শিশু, তরুণতরুণীরা।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী বলেন, শান্তিপূর্ণ ও বর্ণিলভাবে বৈসাবি উদযাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শান্তিচুক্তি হয়েছে বলেই পার্বত্য এলাকায় শান্তি ফিরেছে এবং মানুষ উৎসব উদযাপন করতে পারছে।

খাগড়াছড়ির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক জিতেন চাকমা বলেন, বৈসাবিকে কেন্দ্র করে ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে বর্ণিল আয়োজন করা হয়েছে। এখানে পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্টল দেয়া হয়েছে। এছাড়া পানি খেলাসহ প্রতিদিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। গরিয়া নৃত্য ও ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনা করবে শিল্পীরা।

বৈসাবির মতো উৎসব পাহাড়ে বসবাসরত মানুষের মাঝে সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বৈসাবি অনুষ্ঠান ঘিরে যে একটা আনন্দ কাজ করে আজকে সকলের উপস্থিতি সেটা প্রমাণ করে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বহু ভাষাভাষী, বহু সম্প্রদায়ের বসবাস এখানে। আমরা চাই ক্ষুদ্র জাতিসত্তা যেগুলো আছে সকলের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহবস্থান থাকবে। পার্বত্য এলাকা সারা বিশ্বের মধ্যে সম্প্রীতির একটা বড় উদাহরণ হবে।

এ সময় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ইনস্টিটিউটের শিল্পীরা ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়া রিআকাজা বা পানি খেলা প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান।

মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন গুইমারা রিজিয়নের কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, ডিজিএফআইয়ের কমান্ডার কর্নেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, মং সার্কেলের রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরীসহ সামরিকবেসামরিক কর্মকর্তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধসেন্টমার্টিন নৌ-রুটে স্পিডবোট ডুবি, শিশুসহ উদ্ধার ১৯