সীতাকুণ্ড উপকূলে মিলল বিস্ময়কর ‘ইলেক্ট্রিক ইল’

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | সোমবার , ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডে ধরা পড়েছে দুর্লভ প্রজাতির বৈদ্যুতিক মাছ ‘ইলেক্ট্রিক ইল’। স্থানীয় এক বাসিন্দা সাগরের পাশের একটি খালে মাছটি ধরেন। গত শনিবার বিকালে পৌর এলাকায় উত্তর বাজারে মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসলে তোলপাড় শুরু হয়। প্রথমে মাছটিকে কেউ চিনতে না পারলেও শেষে মৎস্য কর্মকর্তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে মাছটিকে শনাক্ত করেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী জানান, সকালে পৌর এলাকার রূপালী মৎস্য আড়তে সীতাকুণ্ডের টেরিয়াইল এলাকার এক ব্যক্তি মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু আড়তদারসহ কেউ মাছটিকে শনাক্ত করতে পারছিলেন না। শেষে আমাদের খবর দেয়া হয়। আমরা মৎস্য বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় শরীরে উচ্চ ভোল্টের বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম মাছটিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হই।
তিনি জানান, ইলেক্ট্রিক ইল সাধারণত একটি মাছ। এরা দেখতে অনেকটা বাইন মাছের মতো হয়। এরা সাধারণত ৬-৭ ফুট পর্যন্ত দীর্ঘ ও ওজনে ১৫-২০ কেজি পর্যন্ত হয়। দক্ষিণ আমেরিকা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সাগর ও নদীর স্বচ্ছ বা কাদা পানিতে এ মাছ পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের জলসীমায় এ মাছ তেমন একটা দেখা যায় না। এর নাম ইলেক্ট্রিক ইল হওয়ার পেছনের কারণ হল দেহে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। এরা ভয় পেলে কিংবা শত্রুদের আক্রমণ করতে ৫০০-৮০০ ভোল্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। কোনো কারণে যদি এই শক মানুষের গায়ে লাগে তবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই মারা যাবে। তবে মৃত অবস্থায় এ মাছের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা থাকে না। ফলে মৃত্যুর পর অন্যান্য মাছের মতো এই মাছও খাওয়া যায়।
সীতাকুণ্ডের রূপালী মৎস্য আড়তের মালিক লিয়াকত আলী বলেন, মাছটি ৪ ফুট লম্বা ও ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ওজনের। প্রথমে মাছটি আমরা চিনতে পারিনি। পরে মৎস্য কর্মকর্তার সহযোগিতায় নামসহ অন্যান্য বিষয় জানার পর এটি আমি নিয়েছি। মাছটিকে সাবধানে কেটে বিক্রি কিংবা খেতে বলা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভারতের সহায়তা চাওয়া নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মোমেন
পরবর্তী নিবন্ধপেকুয়ায় তিন সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী পলাতক