পেকুয়ায় মাদকাসক্ত এক স্বামীর বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় তিন সন্তানের জননী ওই গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। গতকাল রোববার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের দশেরঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম মর্তুজা বেগম (৩৫)। তিনি পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের দশেরঘোনা এলাকার মোজাহের আহমেদের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী আবদুস শুক্কুর পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সকাল ৭টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিছানায় পড়ে থাকা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা পেকুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়ের উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, নিহতের শরীরে, গলায়, পেটে, পিঠে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পোস্ট মর্টেমের জন্য মরদেহ কঙবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া বলেন, শুক্কুর একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। দিনমজুরি করে যা পায় তা দিয়ে মাদক গ্রহণ করে। সংসারের প্রতি ছিল চরম উদাসীন। এসব বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কলহ লেগেই থাকতো। শনিবার রাতেও তাদের ঝগড়া হয় বলে জেনেছি।
আবদুস শুক্কুর মাদকাসক্তের পাশাপাশি পরকিয়াতেও আসক্ত বলে দাবি করে নিহতের ভাই জসিম উদ্দিন বলেন, একাধিক মেয়ের সঙ্গে শুক্কুরের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। এ নিয়েও তাদের সংসারে ঝামেলা হতো। দফায় দফায় সালিশ-বৈঠক করে তাকে বুঝিয়েও ঠিক করা যায়নি। আমার বোন এসব ব্যাপারে প্রতিবাদ করায় রোববার ভোরে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঘটনার রাতে আবদুস শুক্কুর আমাকে ফোন করে উত্তেজিত ভাষায় বোনকে রাতেই তার বাড়ি থেকে নিয়ে না আসলে লাশ পাবি বলে হুমকি দেয়। আমি দূরে থাকায় সকাল পর্যন্ত তার কাছে সময় চাই। কিন্তু ওই ঘাতক রাতেই আমার বোনকে হত্যা করে- বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জসিম উদ্দিন।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ আলী বলেন, লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার লিখিত এজাহার দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
