সিডিএ’র অননুমোদিত ভবন শনাক্তকরণে সাঁড়াশি অভিযান চাই

এম. আমিন উল্লাহ মেজু, ২২০, শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। | মঙ্গলবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

৭০ লক্ষাধিক নগরবাসীর বসবাসযোগ্য নগরী গড়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)র এক শ্রেণির প্রকৌশলী এবং ভবন পরিদর্শকদের মধ্যে দুর্নীতিপরায়ণ মনোভাব আর অনিয়মের মানসিকতা এবং হয়রানীর কারণে পরিকল্পিত নগর উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সেবাপ্রার্থীরা ফাইল পত্র হাতে নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত সিডিএর প্রতিটি পদে পদে। মহানগরের এমন কোনো এলাকা নেই- যেখানে সরকার কর্তৃক প্রণীত ইমারত নির্মাণ আইন নীতিমালা লংঘন, প্লান (নকশা) অনুমোদন ব্যতীত ভবন নির্মাণ, অথবা নকশাবহির্ভূত ব্যতিক্রম ভবন নির্মাণের ছড়াছড়ি বর্তমান মহানগরীতে দৃশ্যমান। নগরীর আগ্রাবাদ ডেবার দক্ষিণ পাড়, গোসাইলডাঙ্গা, হাজীপাড়া – বেপারিপাড়া, পতেঙ্গা, হালিশহর, চন্দনপুরা, পাথরঘাটা ও বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার গলির ভেতরসহ অনেক এলাকা এমনকি পাড়া- মহল্লা, গলি-সরু গলির ভেতর আলোচ্য অসংখ্য ভবনের খোঁজ পাওয়া যাবে। অনেক ভবন মালিক অল্পস্বল্প জায়গার উপর তিন, চার ও পঞ্চম তলা পর্যন্ত নিয়মবহির্ভূত ভবন নির্মাণ চোখে পড়বে। এ ধরনের শত শত অভিযোগাদি সিডিএতে ৫২০ টাকা চালানের মাধ্যমে অভিযোগ দায়েরের পর ‘অভিযোগটি’ হয়ে উঠে এলাকাভিত্তিক দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী এবং পরিদর্শকদের ‘বাণিজ্য’ করার উৎস। আবার একজন পরিদর্শকের সাথে থাকে তাদের মনোনীত দালালচক্র। দালালদের মাধ্যমে অভিযুক্ত পক্ষের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে অভিযোগের তথ্যাদি সরবরাহ, অভিযোগের কপি গোপন করা ইত্যাদি অনৈতিক কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন থেকে অদ্যাবধি অব্যাহত সিডিএর অভ্যন্তরে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও বেপরোয়া পরিদর্শকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যেন কেউ নেই। এমতাবস্থায়, অননুমোদিত অবৈধভাবে নির্মিত ভবনের মালিকদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করার সিন্ধান্ত গ্রহণ জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায়, আইন ও নীতিমালা লংঘন করে যত্রতত্র ভবন নির্মাণের ফলে সিডিএর পরিকল্পিত নগর উন্নয়নের মৌলিক উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে নিঃসন্দেহে। অভিযানের মাধ্যমে দুর্নীতিপরায়ণ প্রকৌশলী ও সাইড পরিদর্শকদের চিহিৃত আর অবৈধ ভবন শনাক্ত করে সিডিএ আইনে বর্ণিত বিভাগীয় শাস্তির- পাশাপাশি অবৈধ ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু কিংবা জরিমানার আওতায় আনার জন্য সিডিএ চেয়ারম্যানের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবোধচন্দ্র সেন : ছন্দবিশারদ ও রবীন্দ্রগবেষক
পরবর্তী নিবন্ধসম্মলিত পরিবর্তন চাই