সাড়ে পাঁচ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক

৪ অক্টোবর থেকে কর্মসূচি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১ অক্টোবর, ২০২০ at ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় নগরে ৫ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ১২৫৯ মাস বয়সী প্রায় ৪ লক্ষ ৫২ হাজার শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী ৪ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত ১৫দিন ধরে সংস্থাটির ইপিআই কেন্দ্রেসমূহে এ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আগামী রোববার সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করবেন। সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। গতকাল সকালে চসিক মেমন হাসপাতালে এ সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী কোভিড১৯ মহামারীর প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বহুমুখী সেবা ও কার্যক্রম পালন করে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। পুষ্টি বাস্তবায়ন সমন্বয় স্টিয়ারিং কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বছরে ২ বার করে জাতীয় ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন করে থাকে। তারই আলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে এই পুষ্টিসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

কর্মসূচির উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের মধ্যে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব ১ শতাংশের নিচে কমিয়ে আনা এবং তা অব্যাহত রাখা। একই বয়সী শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করা। ৯০ শতাংশের বেশি শিশু যাদের বয়স ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস প্রতি ৬ মাস অন্তর বছরে ২ বার লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাবে। ৯০ শতাংশের বেশি শিশু যাদের বয়স ৬১১ মাস প্রতি ৬ মাস অন্তর বছরে একবার নীল এ ক্যাপসুল পাবে। তিনি বলেন, শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিমাণমতো সুষম খাবার খাওয়াতে উদ্বুদ্ধ করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী, ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. জুয়েল মহাজন, ডা. আকিল মো. নাফে, ডা. সুমন তালুকদার, আবদুর রহিম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্বপরিকল্পিত নয়’
পরবর্তী নিবন্ধমিন্নি সম্পর্কে যা বললেন আদালত