সাহিত্যে একটি জাতির চেহারা ফুটে ওঠে

অভিরাজ নাথ | শুক্রবার , ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ

সাহিত্যের সঙ্গে জাতীয় জীবনের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। সাহিত্য পাঠ বা চর্চা করে সংশ্লিষ্ট জাতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা যায়। জাতীয় জীবনের নানা গতিধারা ও ভাঙাগড়ার প্রতিফলন ঘটে সাহিত্যে। তবে জাতীয় চেতনার সঙ্গে সাহিত্যের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা দরকার। কেননা জাতীয় চেতনার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ব্যতীত কোনো দেশের সাহিত্যই জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করতে পারে না।

সাহিত্য ব্যক্তি-হৃদয়ের অনুভূতি জাগ্রত করলেও তার পরিপুষ্টি ঘটে সমাজ-মানসের বিশাল অঙ্গনে। ব্যক্তির জীবনধারা ও ব্যক্তি-মান সমাজ-পরিপুষ্ট বলেই একে অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়। ব্যক্তির জীবনদৃষ্টি ও সৃষ্ট সাহিত্য যদি যুগচেতনা, ইতিহাস-ঐতিহ্য অনুসন্ধানী হয় তবে সে সাহিত্য সমাজ তথা জাতির সামগ্রিক চিন্তা-চেতনায় একটা বিরাট পরিবর্তন বয়ে আনতে পারে।

সৃষ্টি জগতে মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব অনস্বীকার্য হলেও মানুষের মধ্যে বিস্তৃত হয়ে আছে নানা অপূর্ণতা জীবনের সকল বোধ, বৃত্তি ও আকাঙ্ক্ষাকে সমভাবে সে বিকশিত করতে অক্ষম। মানুষ চায় অপূর্ণকে পূর্ণ করতে, শ্রেয়কে প্রিয় করতে। মানুষের আবেগ আকাঙ্ক্ষা, হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার প্রতিফলন ঘটে সাহিত্যে। তাই কোনো জাতির পরিচয় পেতে হলে সর্বপ্রথম জানতে হবে সেই জাতির সাহিত্যকে। বিশ্বের প্রতিটি জাতির সাহিত্যে সেই জাতির নিজ নিজ পরিচয় উন্মোচিত হয়েছে। দর্পণ বা আয়নায় যেমন মানুষের চেহারা ফুটে ওঠে বা ছবি দেখা যায়, ঠিক তেমনই সাহিত্যে একটি জাতির চেহারা ফুটে ওঠে বা ছবি দেখা যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপি.সি সরকার : বিশ্বনন্দিত জাদুশিল্পী
পরবর্তী নিবন্ধআপনার জিদকে জেতার নেশায় পরিণত করুন