শনিবার দিবাগত রাত ৩টা। কিশোরটির বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর হবে। সে বিএম কন্টেনার ডিপোতে চাকরি করে। হয়ত কেন্টিনের মেসিয়ার, নয়তো কোনো একটা পরিবহনের হেলপার।
সে জানত না ডিপোতে কেমিক্যাল ভর্তি কন্টেনার বিস্ফোরণের ঘটনায় আগুনে তাকে ঝলসে যেতে হবে। সারা শরীর ঝলসে গেছে। তবুও বাঁচার আশায় ডিপো থেকে কোনোরকমে বের হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এসে দাঁড়ায়। হতভম্ব হয়ে এদিক-ওদিক তাকিয়ে পড়ে গেল মহাসড়কের পাশে।
কি নির্মম! এই দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠে মন। স্থানীয়রা তাকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে আসেন। একটা অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তার ছলছল করা চোখ দুটো বলছিল, আমি বাঁচতে চাই, আমাকে বাঁচান।