সরকারের ‘দুর্নীতির’ কারণেই দাম বাড়ছে : ফখরুল

| শনিবার , ১২ মার্চ, ২০২২ at ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ

সরকারের ‘দুর্নীতির’ কারণেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, চালের দাম, তেলের দাম তো বাড়তেই আছে, পেঁয়াজের দাম বাড়তেই আছে। কারণ একটাই, আপনারা সব লুট করছেন, চুরি করছেন, ডাকাতি করছেন। আর যারা দাম বাড়াচ্ছে তারা সব আওয়ামী লীগের সদস্য, আওয়ামী লীগের লোক। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে কৃষক দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
ফখরুল বলেন, সারা দেশ চিৎকার করছে, সারা দেশের মানুষ বলছে যে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেছে, আমি আর পারছি না। তাতে কিছু যায় আসে না; না, ঠিক আছে। উন্নয়ন তো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বললেন কী? রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ এটা আমাদেরকে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এটা আরেকটা মিথ্যা কথা, না? কারণ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের আগে থেকেই তো দাম বাড়ছে।
টিসিবির ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো মানুষের ‘দুরাবস্থার’ কথা জানিয়ে বিএনপি মহসাচিব বলেন, তারা বলছে, আমি যখন সয়াবিন তেল কিনতে পারি না, আমি যখন চাল কিনতে পারি না, আমি যখন চিনি কিনতে পারি না, লবণ কিনতে পারি না, পেঁয়াজ কিনতে পারি না। বাসায় ফিরে গিয়ে আমার বাচ্চাগুলোর মুখে কী দেব সেই চিন্তায় যখন পাগল হয়ে যাই তখন এই আপনাদের পদ্মা সেতু, উড়াল সেতু আর উন্নয়ন দেখে কি কোনো লাভ আছে? এটাই হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনের কথা। মূল্য বৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ ‘অসহায় হয়ে পড়েছে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফখরুলের ভাষায়, আমরা সাধারণ মানুষ কী মুদ্রাস্ফীতি বুঝি? সাধারণ ভাষায় হচ্ছে দাম বাড়া, দাম বাড়াটাই মুদ্রা স্ফীতি। আমার একদম সোজা কথা, এই দাম বাড়ল কেন? কারণ আপনারা (সরকার) সব চুরি করতে শুরু করেছেন। চুরি বললে ভুল হবে ডাকাতি, ডাকাতি। এসব সাধারণ ডাকাত নয়, বর্গীদের ডাকাতি। এটা বর্গীর সরকার। এই সরকারের গায়ের চামড়া গণ্ডারের চেয়েও মোটা। এই সরকার স্বাধীনতাবিরোধী সরকার, এই সরকার জনগণবিরোধী সরকার, এই সরকার কৃষকবিরোধী সরকার, এই সরকার শ্রমিকবিরোধী সরকার। মানুষের জন্য এদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
সরকারের জিডিপির হিসাব ‘ভুয়া’ দাবি করে ফখরুল বলেন, হিসাব অনুযায়ী এই জিডিপির ৪২% হচ্ছে ঋণ। অর্থাৎ আপনাকে, আমাকে, আমাদের সকলকে ঋণের জর্জরিত করে দিচ্ছে। আমাদের পকেট থেকে টাকা কেটে ওই সার চার্জ, অমুক চার্জ, তমুক চার্জ নিয়ে আমাদেরকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। এই সরকার যদি বেশি চলে আমরা কি টিকতে পারব? আমাদের অস্তিত্ব থাকবে? থাকবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, চালক নিহত
পরবর্তী নিবন্ধমিনি সেক্রেটারিয়েট প্রকল্পের কাজ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে