সন্দ্বীপবাসী পেলেন অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ

উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৭ মে, ২০২১ at ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বহরে যুক্ত হলো ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নামে আরও দুইটি নতুন যাত্রীবাহী জাহাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল এই জাহাজ দুটিসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ উদ্বোধন করেছেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। নবনির্মিত অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ দুটি-এমভি তাজউদ্দীন আহমদ চলাচল করবে চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়া-ভোলা ও বরিশাল রুটে। অপরদিকে এমভি আইভি রহমান চলাচল করবে কুমিরা থেকে সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া রুটে। সন্দ্বীপবাসীর জন্য এটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বলেও সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, উপকূলীয় যাত্রীবাহী জাহাজ ও সি-ট্রাক বহরকে দক্ষ ও যুগোপযোগী করতে নবনির্মিত অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ এবং ‘এমভি আইভি রহমান’ নির্মাণ করা হয়েছে। জাহাজ দুইটি কুমিরা-গুপ্তছড়া এবং চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ-হাতিয়া-বরিশাল রুটে চলাচল করবে। এ জাহাজ দুইটির মাধ্যমে বছরে ৬ লাখ ৩০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।
এই ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি চট্টগ্রামের ডিজিএম (কর্মাশিয়াল) গোপাল চন্দ্র মজুমদার আজাদীকে জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ ও ‘এমভি আইভি রহমান’ নামে আমাদের বিআইডব্লিউটিসির দুটি জাহাজ উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের পর লকডাউন শেষে ‘এমভি আইভি রহমান’ কুমিরা-গুপ্তছরা থেকে সন্দ্বীপ রুটে চলাচল করবে। অপরদিকে ‘এমভি তাজউদ্দীন আহমদ’ চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়া-ভোলা ও বরিশাল রুটে চলাচল করবে।
এমভি আইভি রহমানে আসন সংখ্যা ৫ শতাধিক এমভি তাজউদ্দীন আহমদের আসন সংখ্যা সাড়ে ৭শ শতাধিক।
বর্তমানে এমভি আইভি রহমান এফএমসির ডকইয়ার্ডে রয়েছে। অপরদিকে এমভি তাজউদ্দীন আহমদ রয়েছে মুন্সিগঞ্জে।
এই দুটি নতুন জাহাজ বিআইডব্লিউটিসির যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। সেবার মানও বাড়বে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বহরে এখন তিনটি পুরনো যাত্রীবাহী জাহাজ রয়েছে। এই তিনটি হলো এমভি বারআউলিয়া, এমভি আবদুল মতিন ও মনিরুল হক। বারআউলিয়া অনেক পুরনো জাহাজ। বারআউলিয়াতে নতুন ইঞ্জিন বসানো হচ্ছে। নতুন ইঞ্জিন বসানোর ফলে এটি নতুন করে বরিশাল রুটে চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।
এসব অবকাঠামো এবং জলযান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে নৌ-সেক্টরের উন্নয়নে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে। মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশে তৈরি ২০টি কাটার সাকশন ড্রেজারসহ শতাধিক নৌযান একসঙ্গে উদ্বোধন বাংলাদেশের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ‘নবসৃষ্ট অবকাঠামো ও জলযান’ নদীর নাব্যতা রক্ষা, নৌ-পথের উন্নয়ন, উপকূলীয় এলাকার যাত্রী পরিবহন ও দক্ষ নৌকর্মী গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিইউএফএল বর্জ্যের পানি পানে ৮ মহিষের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম