ফের বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

আইপি বন্ধ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৭ মে, ২০২১ at ৪:৪৯ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ সময় পর আবারো বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। সরকার দেশের কৃষক বাঁচাতে নতুন করে পেঁয়াজের আমদানি অনুমতি (আইপি) দেয়া বন্ধ রাখে। গত এক সপ্তাহ আগে পুরনো সব আইপির পণ্য ভারত রপ্তানি করে দেয়। নতুন আইপি ইস্যু না হওয়ায় ভারতের স্থলবন্দরগুলোতে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার যদি শীঘ্রই পেঁয়াজের আইপি ইস্যু না করে তাহলে দাম আরো বেশি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল নগরীর চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৫ টাকায়। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৩৬ টাকায়। চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের আড়তদাররা বলছেন, এতদিন আমদানিকারকদের হাতে যা আইপি ছিল সেগুলোর পেঁয়াজ চলে এসেছে। তাই পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে। তবে এখনো দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সরকার যদি দ্রুত আইপি ইস্যু না করে তাহলে বাজার আবারো অস্থির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি-৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আসা কমে গেছে। মূলত সরকার নতুন করে আইপি ইস্যু বন্ধ করে দেয়ায় আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। দেশি পেঁয়াজ দিয়ে কখনো বাজার চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে পেঁয়াজের আইপি দেয়া উচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসন্দ্বীপবাসী পেলেন অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ
পরবর্তী নিবন্ধমাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দিলো সরকার