সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যুক্ত হয়েছিলেন, স্বীকারোক্তি শামীমা বেগমের

| বৃহস্পতিবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

স্কুলশিক্ষার্থী থাকাকালে যুক্তরাজ্য ছেড়ে যাওয়ার পর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শামীমা বেগম; তার প্রতি জনসাধারণের ক্ষোভের বিষয়টিও বুঝতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিরাপত্তা ঝুঁকিজনিত কারণে শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বছরখানেকেরও বেশি সময় ধরে দেওয়া সাক্ষাৎকারগুলোতে এই নারী বলেছেন, আইএস সদস্যদের মাধ্যমে ব্যাপক নির্দেশনা পাওয়ার পাশাপাশি সিরিয়া যাত্রা বিষয়ে তার নিজস্ব কিছু পরিকল্পনাও ছিল। খবর বিডিনিউজের।

ওই যাত্রা নিয়ে বিবিসি পডকাস্ট ‘দ্য শামীমা বেগম স্টোরি’তে তিনি আরও বলেছেন, যুক্তরাজ্য ছেড়ে বের হয়ে যাওয়ায় তিনি ‘স্বস্তি’ পেয়েছিলেন, আর কখনো দেশটিতে ফিরে আসার প্রত্যাশাও ছিল না তার। যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা যে এখন তাকে ‘তাদের যাপিত জীবনে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিপজ্জনক, ঝুঁকিপূর্ণ বা সম্ভাব্য বিপদ হিসেবে দেখে, তাও জানেন বলে জানান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এ নারী। তারা যেমনটা ভাবে, আমি তেমন মানুষ নই, বলেছেন তিনি।

২০১৯ সালে আইএস তাদের তথাকথিত ‘খেলাফত’ হারানোর পর সিরিয়ার বিভিন্ন বন্দিশালা ও আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা হাজারও নর-নারী, শিশুর মধ্যে বিশ্বজুড়ে শামীমার মতো পরিচিতি আর কেউ পাননি। বন্দিশালা ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকা ওই হাজার হাজার মানুষ এমন সব দেশ থেকে সিরিয়া গিয়েছিলেন, যারা আর তাদের ফেরত নিতে চায় না।

বর্তমানে ২৩ বছর বয়সী শামীমা সিরিয়া থাকাকালে তিন সন্তানের মা হয়েছিলেন, তিনটি শিশুই মারা গেছে। এই নারী এখন ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেতে ও লন্ডনে ফিরতে যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন। শামীমা কি যৌন নির্যাতনের লক্ষ্যে পাচারের শিকার হওয়া নারী ছিলেন নাকি আইএসের স্বেচ্ছাসেবক হতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েই দেশ ছেড়েছিলেন, শুনানির কেন্দ্রবিন্দুতে বারবার এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেয়েছে।

আইএসে যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গে শামীমা বলেন, আমার পরিবার আমাকে দুর্বল ভাবত, মনে করত যে আমি এ ধরনের পাগলামি করতে পারবো না। যে কারণে তারা ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি যে আমি (আইএসে যোগ দিতে) চলে যাবো। আমি সবসময়ই নির্জনে থাকতে পছন্দ করা মানুষ। আমার জীবন যেভাবে গণমাধ্যমে চলে এসেছে তা আমার জন্য সত্যিই কঠিন হয়ে উঠেছে, কেননা আমি মোটেও মনোযোগের কেন্দ্রে থাকতে পছন্দ করা মানুষ নই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাল আজকাল
পরবর্তী নিবন্ধপর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি