সকালে চায়ের কাপে আজাদী

মর্জিনা হক চৌধুরী পপি | বুধবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৪৫ পূর্বাহ্ণ

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই চায়ের চুমুকেই পত্রিকা পড়ার অভ্যাস আমার। আমি ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত পত্রিকা পড়তাম এখনো নিয়ম করে পড়ি। মাঝে মাঝে হকারের গাফলতির কারণে পড়া হয় না। তখন আমি খুব বিরক্তবোধ করি। কারণ আজাদী একটা ভালোবাসার ও ভালোলাগার জায়গা। আজাদী শুধু আমার না পুরো চটগ্রামবাসীদের পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছে। একজন সদস্যের অনুপস্থিতিতে যেমন ঘর ফাঁকা ফাঁকা লাগে তেমনি একদিন আজাদী না আসলে শূন্য শূন্য লাগে মনে হয় কী যেনো নেই।

ভাষা আন্দোলনের এক অনন্য উদাহরণ কোহিনূর ইলেকট্রনিক প্রেস (যেখান থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদী)। এই পত্রিকা মানুষের ঘরে ঘরে মানুষের মনে জায়গা করে নিলেও অনলাইন সংস্করণের কারণে আজাদী এখন শুধু চটগ্রামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সাধারণ মানুষের চলমান দৈনন্দিন বাস্তব জীবন প্রবাহ থেকে শুরু করে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, বিদেশের সব কিছু তুলে এনে আজাদী আমাদের উপহার দেয়। দৈনিক আজাদী শুধু একটি বিশেষ পত্রিকা নয়। এই আজাদী লেখক ও সাংবাদিক নির্মাণের বড় প্ল্যাটফর্ম। আজাদী আমার লেখার প্রাণ। আমার প্রথম লেখা প্রকাশ করে এই আজাদী। আমি আজাদীতে লিখে যেমন আনন্দ পাই অন্য কোথাও লিখে তেমন আনন্দ পাই না। এই আজাদী শুধু আমাকে নয় অনেক জনকেই লেখক বানিয়েছে। তাই আজাদী লেখক গড়ার কারিগরও বটে।

৫ সেপ্টেম্বর আজাদীর জন্মদিন। এটি বাংলাদেশের সংবাদপত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি শ্রদ্ধেয় গুণীজন আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মহোদয়কে। অগণিত পাঠকের ভালোবাসায় আজ আজাদী ৬৩ বছরে পদার্পণ করেছে। সেটি অব্যাহত থাকুক নিরন্তর। পাঠকের মনের খোরাক জোগায়ে হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকুক এই দৈনিক আজাদী। সেই সাথে আজাদীর ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য আজাদীর সকল সংশ্লিষ্টকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। দৈনিক আজাদীর ৬৩ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজাদী চট্টলার মাটি ও মানুষের কথা বলে
পরবর্তী নিবন্ধশুভ জন্মদিন দৈনিক আজাদী