ষষ্ঠ ধাপে ভাসানচর যাচ্ছে আরও ৪ হাজার রোহিঙ্গা

আছে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ১৭০ পরিবারও

কক্সবাজার ও রামু প্রতিনিধি | বুধবার , ৩১ মার্চ, ২০২১ at ৪:৫২ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির থেকে এবার ৬ষ্ঠ ধাপে আরও চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে। এর অংশ হিসাবে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উখিয়ার ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে দুই হাজার ৫শ ৫৫ জন রোহিঙ্গাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ বুধবারও দেড় হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম যাবে। চলতি মৌসুমে এটি ভাসানচরমুখী রোহিঙ্গাদের আপাতত শেষ যাত্রা বলে জানা গেছে। এদিকে এবার ৬ষ্ঠ দফায় যারা ভাসানচর যাচ্ছেন তাদের মধ্যে প্রায় ১৭০ পরিবার আছে গত ২২ মার্চ বালুখালীর রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণাথী প্রত্যাবাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে রোহিঙ্গাদের ৪৭টি বাসে করে ২ হাজার ৫৫৫ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাতে তাদের চট্টগ্রামে বিএফ শাহীন কলেজের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে। বুধবার সেখান থেকে তাদের নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ভাসানচরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। একইভাবে বুধবারও রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দুই হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হবে, সেখান থেকে বৃহস্পতিবার তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।।
কক্সবাজার শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবাসন কাযালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান, এর আগে পাঁচ দফায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে, ষষ্ঠ ধাপে স্বেচ্ছায় যেতে ইচ্ছুক আরো চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে বুধ ও বৃহস্পতিবার নৌবাহিনীর জাহাজে করে তাদের ভাসানচর নিয়ে যাওয়া হবে।
কক্সবাজার শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত জানান, ষষ্ঠ ধাপে রোহিঙ্গা স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ ও ৯ নং ক্যাম্প থেকে ১শ ৭৩ পরিবার স্বেচ্ছায় ভাসানচর যাচ্ছে। অবশ্যই তারা অগ্নিকাণ্ডের আগেই ভাসানচর যাওয়ার তালিকায় ছিল বলে জানান তিনি। এর আগে পাঁচ দফায় কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে এটি হয়ত ভাসানচরমুখী রোহিঙ্গাদের শেষ যাত্রা। কারণ চলতি শুষ্ক মৌসুম তথা এপ্রিল পর্যন্ত সমুদ্র অনেকটা শান্ত থাকে। সামনের দিনগুলোতে সমুদ্র অনেকটা উত্তাল থাকবে। ওই সময় তাদের সেখানে স্থানান্তর কার্যক্রম স্থগিত থাকতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশাহাদাতকে ১০ দিন রিমান্ডে চায় পুলিশ
পরবর্তী নিবন্ধঈদবাজার নিয়ে শঙ্কা