শেষ তালিকায়ও কলেজ পায়নি সাড়ে ৮ হাজার শিক্ষার্থী

আজাদী প্রতিবেদন

জিপিএ-৫ পাওয়া ৯১ জনও ভর্তির বাইরে | বৃহস্পতিবার , ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

একাদশে ভর্তিতে ৩য় পর্যায়ের বা শেষ ধাপের আবেদনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। একই সাথে দ্বিতীয় পর্যায়ে মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (www.xiclassadmission.gov.bd) –এ ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। ৩য় পর্যায়ের ফলাফলে নতুন করে ৮ হাজার ৬ জন শিক্ষার্থী কলেজ ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। তবে শেষ ধাপের ফল প্রকাশের পরও চট্টগ্রামের সাড়ে ৮ হাজার (৮ হাজার ৬৪২ জন) শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কোন কলেজ পায়নি। এর মাঝে জিপিএ৫ পাওয়া ৯১ জন শিক্ষার্থীও রয়েছে। অর্থাৎ সর্বোচ্চ জিপিএ৫ পেয়েও ভর্তির জন্য কলেজ পায়নি এই ৯১ শিক্ষার্থী।

আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ জিপিএ৫ পাওয়া মোট ১৮ হাজার ৬৮৮ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করে ১৮ হাজার ৯৩ জন। এর মাঝে শেষ ধাপ পর্যন্ত ১৮ হাজার ২ জন ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ জিপিএ৫ পেয়েও ৯১ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য তালিকায় কলেজ পায়নি। সর্বোচ্চ দশটি কলেজ পছন্দক্রম দিয়ে আবেদনের সুযোগ থাকলেও প্রথম পর্যায়ের আবেদনে কম সংখ্যক কলেজ পছন্দ দেয়ায় এবং বিশেষ করে শুধু প্রথম সারির কলেজগুলোই পছন্দ দেয়ায় জিপিএ৫ প্রাপ্ত এসব শিক্ষার্থী কলেজ পায়নি বলে মনে করেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।

এদিকে, একাদশে ভর্তিতে ৩য় বা শেষ দফায় ফল প্রকাশের পর নতুন আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি। অর্থাৎ কলেজ না পাওয়া এসব শিক্ষার্থীর আপাতত নতুন আবেদনের সুযোগ নেই। ফলে এখন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে এসব শিক্ষার্থীকে। মনোনীত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষে এসব (কলেজ না পাওয়া) শিক্ষার্থীর বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও আন্তঃবোর্ড সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক। যদিও মোট আবেদনকারীর তুলনায় আসন সংখ্যা বেশি থাকায় সব শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ পাবে বলে জানান তিনি। কলেজ পরিদর্শকের দাবি, বোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে মোট আসন সংখ্যা ১ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি। কিন্তু ভর্তির জন্য মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২৮ হাজারের একটু বেশি। হিসেবে আরও প্রায় ৪৫ হাজার আসনে শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে না। তবে এখনো যারা কলেজ পায়নি তাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে। আন্তঃবোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চয় এসব শিক্ষার্থীর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবে। মনোনীত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানান শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।

অন্যদিকে, ৩য় পর্যায়ে মনোনীতদের ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৩২৮ টাকা ফি পরিশোধ করে এই নিশ্চায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এই সময়ে ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে মনোনয়ন ও আবেদন বাতিল হয়ে যাবে। চূড়ান্ত ভাবে মনোনীত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলবে ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি কার্যক্রম শেষে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে একাদশে ক্লাস শুরু হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির তথ্য অনুযায়ীচট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৩ জন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১ম ও ২য় তালিকায় মনোনীতদের মাঝে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করে ১ লাখ ১২ হাজার ১১৫ জন। আর গতকাল প্রকাশিত ৩য় ধাপের ফলাফলে মনোনীত হয়েছে ৮ হাজার ৬ জন। সবমিলিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ১২১ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুতার ভেতর পৌনে দুই কোটি টাকার ২০টি স্বর্ণের বার
পরবর্তী নিবন্ধসুবর্ণের ভাড়া বৃদ্ধি, কার্যকর ২৫ জানুয়ারি থেকে