শিশুদের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে

| শনিবার , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে। উপর্যুক্ত প্রবাদটি প্রত্যেকের সম্যক জ্ঞাত এবং সুবিদিত। আমরা আশা করি যে, আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা ভবিষ্যতের কর্ণধার হবে। কিন্তু কর্ণধার হওয়ার জন্য কিংবা কর্ণধার হিসেবে তৈরি করার জন্য আমাদের যা যা করণীয় তা-তো করছি-ই না বরং তাদের হেসে-খেলে বিপরীত দিকে নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশের বেশিরভাগ শিশুরা দিনের পর দিন অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। অনলাইন গেমে আসক্ত হওয়ার অন্যতম কারণ হলো পিতা-মাতার অসতর্কতা। বাবা-মা তাদের সন্তানদের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিচ্ছে। এটা আমাদের একজন দায়িত্ববান পিতা-মাতার বৈশিষ্ট্য নয়।
অনলাইনে গেমে আসক্ত শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীতে এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এ কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দীর্ঘদিন জরিপ আর গবেষণার পর ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অফ ডিজিজ ১১ তম সংশোধিত সংস্করণে “গেমিং অ্যাডিকশন” হিসেবে একে মনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে গ্রহণ করেছে ২০১৮ সালের জুন মাসে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২সালে প্রকাশিত আইসিটি- ১১ শীর্ষক রোগ নির্ণয়ে গাইডবুকে এটি সংযুক্ত করা হয়েছে। অনলাইনে আসক্তির পরিণতি ফলে– পারিবারিক জীবনযাপনে বাধাগ্রস্ত হবে। বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যদের সাথে সম্পর্ক খারাপ হতে থাকবে। নিজের যত্ন কম হবে। পর্নগ্রাফি তে আসক্ত হলে স্বাভাবিক যৌনজীবন নষ্ট হবে। মা -বাবা নিজেরাও যদি প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি হয়ে থাকেন, তবে সবার আগে নিজের আসক্তি দূর করতে হবে। অনলাইন গেম মাদকাসক্তির মতো-ই একটি সমস্যা। সুতরাং এ ব্যাপারে আমাদের প্রত্যেকের সচেতন হতে হবে, ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, তাঁদের অনলাইন থেকে দূরে রাখতে হবে।
– মো. আল-আমিন, বাংলা বিভাগ, ঢাকা কলেজ, ঢাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফয়েজ আহ্‌মদ : সমাজ বাস্তবতার শিল্পী
পরবর্তী নিবন্ধমানুষ গড়ার কারিগর