শিক্ষার্থীর কাছ থেকে একশ টাকা করে নেয়ার অভিযোগ

প্রাথমিকের কিট অ্যালাউন্স

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৪ জুন, ২০২২ at ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ

জামা-জুতা-ব্যাগ কিনতে কিট অ্যালাউন্স হিসেবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এক হাজার টাকা করে দিচ্ছে সরকার। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর পরিবারের নগদ একাউন্টে এ টাকা দেয়া হচ্ছে। একাউন্টে টাকা জমা হওয়ার পর নগদ এজেন্টের যে কোন দোকান থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই টাকা উত্তোলনের সুযোগ রয়েছে। সেভাবে উত্তোলনও করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তবে দোকান থেকে উত্তোলনের পর একশ টাকা করে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দিয়ে আসতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি ইউনুস মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাম প্রসাদ সিংহের বিরুদ্ধে। যদিও এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে প্রধান শিক্ষক বলছেন, টাকা আসছে শিক্ষার্থীর পরিবারের মোবাইল একাউন্টে। তারা নিজেদের মতো নগদ এজেন্টর দোকান থেকে এ টাকা উত্তোলন করছে। এখানে আমার একশ টাকা কেটে রাখার সুযোগ কোথায়। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে, কোন ভিত্তি নেই।

তবে একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানিয়েছেন, তারা দোকান থেকে টাকা উত্তোলন করলেও জনপ্রতি একশ টাকা করে হেড স্যারকে দিয়ে এসেছেন। পিন কোডের জটিলতার কারণে যাদের একাউন্টে টাকা আসছিল না, পিন কোড এনে দেয়ার কথা বলে তাদের কাছ থেকেই একশ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা চার শতাধিক। তবে কিট অ্যালাউন্স পাচ্ছেন প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি ও পাসের হার বিবেচনায় কিট অ্যালাউন্স প্রাপ্যতার তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানান প্রধান শিক্ষক রাম প্রসাদ সিংহ।

জানতে চাইলে শিক্ষার্থী প্রতি একশ টাকা আদায়ের বিষয়টি অন্যায় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম। গতকাল তিনি আজাদীকে বলেন, এ ধরণের টাকা নেয়ার নিয়ম নেই। প্রধান শিক্ষক নিয়ে থাকলে তিনি অবশ্যই অন্যায় করেছেন। কোন অভিভাবক বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাস্ক পরার নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধকম খরচে উৎপাদন, তবুও অবহেলিত কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র