‘শিক্ষকদের বেতন না দিলে অধিভুক্তি বাতিল’

| রবিবার , ২৭ জুন, ২০২১ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

যেসব কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না, সেগুলোর অধিভুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. মশিউর রহমান। গতকাল শনিবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক মতবিনিময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত এই উপাচার্য বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় প্রতিটি শিক্ষকের বেতন কলেজ থেকে দেওয়া হবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। এরপরও বহু কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে প্রতিটি কলেজে চিঠি দিয়েছি, যেসব কোর্সের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না, ওই বিষয়ের কোর্সটির অধিভুক্তি বাতিল করা হবে। তবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এটি করা হবে। খবর বিডিনিউজের।
কিছু ‘দুর্নীতিবাজ’ ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক সততার সঙ্গে জীবন যাপন করে জানিয়ে উপাচার্য মশিউর রহমান বলেন, আমি অনেক অধ্যাপককে দেখেছি অবসরের পর একটি ফ্ল্যাট কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক শিক্ষক রঙ্গিন টিভিও কিনতে পারেন না। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নয়, মাধ্যমিক প্রাথমিকের ৯৫ ভাগ শিক্ষক সততার সঙ্গেই জীবন ধারণ করছেন। অথচ আমরা সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাই শিক্ষকের দুর্নীতির সচিত্র প্রতিবেদন, যা খুবই দুঃখজনক।
দুর্নীতি প্রতিরোধ সেল গঠিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নীতিগত ভাবে এটি করা হয়েছে। এর জন্য একটি অফিস লাগবে, যার কাজ চলছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
মহামারীকালে সেশনজট দূর করতে পরীক্ষা ছাড়াই পরবর্তী বর্ষে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক মশিউর বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে এক ক্লাসে ২-৩ বছর আটকে না থাকে, তাদের পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হয়েছে। তার মানে, তাদের অটোপ্রমোশন দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি ভালো হলে আমরা তাদের পরীক্ষাগুলো নেব।
অনলাইনে ক্লাস ও অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, গত বছর আমরা বৈঠকে বসেছিলাম এবং সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি কোর্সে ১০টি করে লেকচার আমরা অনলাইনে আপলোড দেব। সেই হিসাবে প্রায় ১৩ হাজার লেকচার হয়। ইতিমধ্যেই আমরা প্রায় সাত হাজার লেকচার আপলোড দিয়েছি এবং বাকিগুলো শিক্ষকদের কাছ থেকে পেলে ধীরে ধীরে দেওয়া হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত স্নাতক কলেজে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, যেসব শিক্ষার্থী এইচএসসি পাস করে বসে আছে, ভর্তি হতে পারছে না তাদের জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে। অনলাইনে যদি ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারি তাহলে আমরা অতি শিগগিরই নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনলাইনে ক্লাস শুরু করব।
মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি আবারও বাড়ছে
পরবর্তী নিবন্ধচারজনের দুটি প্যানেল চূড়ান্ত ঘোষণা যেকোনো সময়