দলীয় ‘শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে’ লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দলের সব পদ থেকে ‘বহিষ্কার’ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। খবর বিডিনিউজের।
সেখানে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল–বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ রাজধানীর বনানীতে জাতীয় ইনসাফ কমিটি (ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস) নামের এক সংগঠনের ব্যানারে এক অনুষ্ঠানে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক ফরহাদ মজহার এবং সদস্য সচিব হিসেবে শওকত মাহমুদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
বহিষ্কারের দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শওকত মাহমুদ বলেন, এটা দুঃখজনক। সাংবাদিক শওকত মাহমুদ দুই দফা জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিএনপি সমর্থিত ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নেরও সভাপতি ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
বিএনপির রাজনীতিতে তিনি সরাসরি যুক্ত হন ২০০৯ সালে। দলে যোগ দিয়েই চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হয়ে যান। ২০১৬ সালে ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে শওকত মাহমুদকে দলের ভাইস চেয়ারম্যান করে নেয় বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর শওকত মাহমুদ ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হয়ে একবছরের বেশি সময় কারাবাস করেন। তার বিরুদ্ধে ৬০টির বেশি মামলা রয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে ‘দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের’ অভিযোগে শওকত মাহমুদকে শোকজ করেছিল বিএনপি। ওই সময় পেশাজীবী সমাজের ব্যানারে একটি সমাবেশ থেকে তিনি সরকার পতনের ডাক দিয়েছিলেন। বিএনপির ভাষ্য ছিল, ওই সমাবেশের সাথে তাদের দলের কোনো সম্পর্ক ছিল না।
২০১৯ এবং ২০২০ সালেও ঢাকায় সরকারবিরোধী দুটি বড় জমায়েত হয়েছিল। এর পেছনেও শওকত মাহমুদ ছিলেন বলে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয় বিএনপি। ওই সময়ে আরেক ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদকেও কারণ দর্শাতে বলা হয়েছিল।