পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বিক্রির উদ্দেশে কক্সবাজারের চকরিয়ায় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি করা ভেজাল ঘি, চা পাতাসহ নানা খাদ্যদ্রব্যের কারখানার সন্ধান পেয়েছে প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে র্যাবকে সাথে নিয়ে ওই ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, এ সময় ওই কারখানা গুঁড়িয়ে দিয়ে আটক করা হয় কারখানার মালিককে। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করার পর তার কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের ভেজাল খাদ্যদ্রব্য আর তৈরি করবে না মর্মে মুচলেকা দিলে ছাড়া পায় ওই মালিক।
অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাত উজ–জামান। এ সময় র্যাব–১৫ এর কোম্পানি কমাণ্ডারের নেতৃত্বে র্যাবের সদস্য ও উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম নুরুল কাদের। তিনি চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রাজারবিল গ্রামের মৃত মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে খাদ্যে ব্যবহার নিষিদ্ধ এমন রাসায়নিক পদার্থ, ডালডা, পাম অয়েল, গাছের গুঁড়ি সদৃশ বস্তু ইত্যাদি সামগ্রী দিয়ে ভেজাল ঘি, চা পাতা ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী উৎপাদনরত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় আনুমানিক ৫ মণ ভেজাল ঘি ও ২/৩ মণ নকল চা পাতা জব্দ করে নষ্ট করা হয়। ঘটনাস্থলে পাওয়া যায় পাবনার বাঘাবাড়ি ঘিয়ের নকল কৌটা ও ফ্রেশ চা পাতার নকল প্যাকেট।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাহাত উজ–জামান দৈনিক আজাদীকে জানান, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরির কারখানা ধ্বংস করার পর অভিযান পরিচালনা করা হয় চকরিয়া পৌরশহরের পাঁচটি আবাসিক হোটেলে। এ সময় অবৈধ কার্যকলাপ চলাকালীন বালিকা বিদ্যালয় সড়কের ওশান সিটি মার্কেটের সিলভার ওশান নামক হোটেলটির অসংখ্য কক্ষ থেকে আটক করা হয় অপ্রাপ্তবয়স্ক বেশকজন স্কুল ও কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে। পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ওই আবাসিক হোটেলটি সীলগালা করে দেওয়া হয়। এরপর অন্য চারটি আবাসিক হোটেলকে লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন ব্যবসা পরিচালনার দায়ে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সামনেও এই অভিযান অব্যাহতভাবে চলবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।