রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় ২৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

কক্সবাজার প্রতিনিধি | সোমবার , ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৪:২১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ২৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য অভিযোগ গঠন করা হয়।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার ধার্য তারিখ ছিল রোববার দুপুরে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র নিয়ে আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত এ মামলার ২৯ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হলো।
তিনি জানান,
আদালতে অভিযোগ গঠনকালে এ সময় এই মামলার ২৯ আসামির মধ্যে ১৫ জন হাজির ছিল। বাকি ১৪ জন আসামি পলাতক রয়েছে। মামলায় ৩৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। মামলার বিচারিক কার্যক্রমের পরবর্তী তারিখে সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর (২০২১ সালের) ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ডি ব্লকে আরকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ। পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রায় সাড়ে ৮ মাস পর তদন্ত শেষে উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন গত ১৩ জুন ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে ৩৬ জন জড়িত থাকলেও ৭ জনের নাম ও ঠিকানা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার ১৫ জনের মধ্যে ৪ জন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৩ জন সাক্ষীও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এ দিকে এ হত্যাকাণ্ডের পর নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল মুহিবুল্লাহর পরিবার। এর ফলে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছেড়ে কানাডায় আশ্রয় নেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাসায় ঢুকে গৃহবধূকে খুন স্বর্ণালঙ্কার লুট
পরবর্তী নিবন্ধকমিটি সংস্কার চায় পদবঞ্চিতরা, বার বার আন্দোলন অবরোধ