রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু, জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে ৬৬০ মেগাওয়াট

| মঙ্গলবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র (কয়লাভিত্তিক মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) শনিবার রাতে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। এর মধ্যমে ইউনিট-১ থেকে জাতীয় গ্রিডে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে। এর আগে, গত ১৫ আগস্ট প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি (১৩২০ মেগাওয়াট) মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের একটি ইউনিট-১ সফলভাবে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এটি তখন জাতীয় গ্রিডে ৯১.৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। প্রকল্পের একজন কর্মকর্তা গতকাল জানান, ২০২৩ সালের জুনে ইউনিট-২ থেকে জাতীয় গ্রিড আরও ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করা হবে। খবর বাসসের।

বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরাম উল্লাহ বলেন, শনিবার রাত থেকে ইউনিট-১-এর পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়েছে, আমরা বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছি। এরই মধ্যে সব ধরনের কারিগরি কাজ শেষ হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আনুমানিক ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত, এই প্রকল্পের দুটি ইউনিট (প্রতিটি ৬৬০ মেগাওয়াট) থেকে মোট ১,৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে।

প্রকল্পের উপ-ব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, প্রথম ইউনিট থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটের ৭৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে বাকি কাজ শেষ হবে। ৬৬০ মেগাওয়াটের ২টি (১৩২০) মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি প্রায় ২.০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে এবং এটি খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত।

প্রায় ৯১৫.৫ একর জমির উপর অবস্থিত এই প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত শতভাগ বিদ্যুৎ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সরবরাহ করা হবে। এই প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ প্রেরণ ও বিতরণের জন্য, কারখানা থেকে খুলনা পর্যন্ত ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন এবং গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহেশখালীর শতবর্ষী পুকুর রক্ষার আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
পরবর্তী নিবন্ধবাংলা সাহিত্যের সকল শাখায় অশোক বড়ুয়ার অনবদ্য বিচরণ ছিল