মোহাম্মদ খালেদ : চেতনার বাতিঘর

এম. এ. গফুর | মঙ্গলবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

২১ ডিসেম্বর সত্যের মশালবাহী দৈনিক আজাদীর সাবেক সম্পাদক জোর্তিময় মনীষা, চেতনার বাতিঘর, আদর্শের প্রতিমূর্তি মোহাম্মদ খালেদের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৩ সালের এই দিনে তিনি আমাদের সকলকে শোক সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে পর পারে চলে গেছেন। অধ্যাপক খালেদ ছিলেন একজন সৎ সাহসী, নির্লোভ, নির্ভীক, নিরহংকার নিঃস্বার্থ সর্বজন শ্রদ্ধেয় ও পরিচিত আদর্শবান সাংবাদিক। তিনি জ্ঞানে পান্ডিত্যে অভিজ্ঞতায় একজন অনন্য সাধারণ ব্যক্তিত্ব। সৃজনশীল জগতের একজন অনুকরণীয় পুরুষ। প্রচারবিমূখ জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকার পরও নিরাসক্ত একজন মানুষ। দেশের সংবাদপত্র ও সাংবাকিতা জগতে তার অবদান অসামান্য। মরহুম খালেদ ছিলেন বরেণ্য সাংবাদিক বিশিস্ট রাজনীতিবিদ, সংবিধান প্রণেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। সাংবাদিক হিসেবে তাঁর লেখনী সর্বদাই সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ছিল সোচ্চার। ব্যক্তিগত জীবনে ভদ্র, সৎ সদালপী নিষ্ঠাবান বিনয়ী জনদরদী হিসেবে এবং আদর্শবাদী অসাম্প্রদায়িক বদ্ধিজীবি হিসেবে সকল মহলের নিকট গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর সততা ও কর্মনিষ্ঠ মনোভাব আমাদের সকলকে উৎসাহিত করে। তাঁর সংস্পর্শে এসে বিনয়ী আচরণে মুগ্ধ হননি এমন ব্যক্তি খুবই বিরল।
আজাদীর দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তিনি মেধা ও শ্রম দিয়ে সংবাদপত্র শিল্পের বিকাশে অবদান রেখে গেছেন। ঋজু দিক নির্দেশনামূলক ও যুক্তিপূর্ণ বক্তব্যদানে তিনি ছিলেন অতুলনীয়। তাঁর ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। এবং তাঁর রূহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। বরেণ্য সাংবাদিক অধ্যাপক খালেদের নৈতিকতা চারিত্রিক শুভ্রতা এবং আদর্শনীতি আমাদের ভবিষ্যতের পথ চলা ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকীর্তিমানের মৃত্যু নেই
পরবর্তী নিবন্ধবিবেকের কণ্ঠস্বর