কীর্তিমানের মৃত্যু নেই

জি এম শহীদ | মঙ্গলবার , ২১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

কীর্তিমানদের কখনো মৃত্যু হয় না। কী জাগ্রত কী নিশীথে কীর্তিমানরা চিরঞ্জীব হয়ে থাকেন প্রতিটি মুহূর্তে মানুষের হৃদয়ে ঠিক তেমনি চট্টগ্রামের মানুষের হৃদয়ে চির অমর হয়ে আছেন চট্টগ্রামের সাংবাদিকতার পথিকৃৎ গুণীজন অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ। উনি একাধারে শিক্ষাবিদ, বর্ষীয়ান সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ আলোকিত মানুষ। উনার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে মা মাটির মানুষকে ভালোবাসতেন নিঃস্বার্থভাবে। ১৯২২ সালে ৬ জুলাই এই গুণীজন জন্মগ্রহণ করেন। আলোকিত মানুষেরা ছোট্ট বেলা থেকেই আলোকিত হয়, সৎ হয়, মানব জাতির সেবা ব্রত হয়ে এগিয়ে যান বহুদূর কারণ এগুলো মহান রবের দান মানুষের কল্যাণে কাজ করার মতো মনমানসিকতা আল্লাহ পাক সবাইকে দেয় না। আলোকিত মানুষেরা কখনো অন্যায়কে সমথর্ন করেনা উনারা সবসময় সোচ্চার হন সত্যের শান্তির পরশ দিতে জাতিকে। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন, পালন করেছেন মুজিব নগর সরকারের মুখপাত্র হিসেবে বিশেষ ভূমিকা। ৬৬ র ছয় দফা, ৬৯ এর গণআন্দোলন মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখেন। অধ্যাপক খালেদ তীক্ষ্ণ মেধার অধিকারী ছিলেন। বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়নেও তিনি ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬২ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলার প্রথম দৈনিক, দৈনিক আজাদীর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। চট্টগ্রামের মানুষের জন্য নিজের সেরাটা উপহার দিয়েছেন সবসময় যার ফলস্বরূপ ৭০ ও ৭৩ এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে জাতীয় পরিষদের সদস্য হন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৯ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেন। অধ্যাপক খালেদের মতো গুণীজনেরা প্রতি বছর জন্ম নেয় না শত হাজার বছরে একজন জন্ম নেয়। ২০০৩ সালে এই গুণীজন মহান রবের সান্নিধ্যে চলে যান আমাদের ছেড়ে। আল্লাহ পাক উনাকে জান্নাতের আলা মকাম দান করুক। উনি বাংলার মাটি ও মানুষের হৃদয়ে চিরঞ্জীব হয়ে থাকবে আপন কর্মগুণে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ: জ্যোতির্ময়ী নক্ষত্র
পরবর্তী নিবন্ধমোহাম্মদ খালেদ : চেতনার বাতিঘর