মোছলেম উদ্দিন আহমদ তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা এক বর্ষীয়ান নেতা

মামুনুর রশীদ মামুন | বুধবার , ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আমাদের প্রিয় ভাই মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি আমাদেরকে ছেড়ে পরকালে পাড়ি দিয়েছেন। মোছলেম ভাইয়ের রাজনীতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ একাধারে তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা এক বর্ষীয়ান নেতা। রাজনৈতিক গুণাবলীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য ছিলেন তিনি, কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন এবং কর্মীদের মধ্যে তিনি ধনীগরীবের চোখে দেখতেন না।

তিনি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী সরকারের আমলে কারাগারে প্রথম ডিভিশনপ্রাপ্ত রাজবন্দী ছিলেন। জাসদ, বাকশাল, গণতন্ত্রী পার্টিসহ জোট সরকারের অনেক নেতা সেসময় কারাগারে ছিলেন। আমিও ছিলাম তাদের মধ্যে একজন। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান খান কায়সার সাহেব আমাকে ডিভিশনে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ওখানে সেসময় শ্রদ্ধেয় মোছলেম ভাইকে একসাথে পেয়েছি, সামনে থেকে দেখেছি মোছলেম ভাই কতটা কর্মীবান্ধব। সে সময় কারাগারের অভ্যন্তরীণ ক্যারম প্রতিযোগিতায় বাকশালের সাবেক এমপি কফিল উদ্দিন ভাই ও অ্যাডভোকেট জানে আলম সাহেব চ্যাম্পিয়ন হন। মোছলেম ভাই ও আমি জোটবদ্ধভাবে রানার্সআপ হয়। সে সময় অনেক সিনিয়র ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের মাঝে আমিই সর্বকনিষ্ঠ ছিলাম। সেই সুবাদে আমি সব সিনিয়রদের স্নেহভাজন ছিলাম। তখন আমি ওমরগণি এমইএস কলেজের ছাত্র সংসদের জিএস ছিলাম। মোছলেম ভাই কারাগারে থেকে আমাকে রাজনৈতিক অঙ্গনের ভালো ভালো বই পড়তে দিতেন। সর্বশেষ উপ নির্বাচনে মোছলেম ভাই আমাকে কাজ করতে বলেছেন, খরচের বিষয়ে জ্ঞাত করলে তা আমি প্রত্যাখ্যান করি এবং বললাম ভাইয়ের জন্য বিনিময় নিয়ে নির্বাচনে কাজ করতে হবে তা ভাবতেও লজ্জা লাগে। আপনি জিতলে সেটাই আমাদের পাওয়া, সর্বশেষ মোছলেম ভাই নির্বাচিত হয়ে এমপি হলেন।

লেখক : আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক কমিশনার,

৮নং শুলকবহর ওয়ার্ড

পূর্ববর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে আগামী ৫ বছরের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কর্মশালা
পরবর্তী নিবন্ধকাস্টমস বন্ডকে আরও সহনশীল হওয়ার অনুরোধ বেপজিয়ার