মে মাসের পর দেশে সর্বনিম্ন শনাক্ত ও মৃত্যু

| শুক্রবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর দৈনিক সংখ্যা আরও কিছুটা কমে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ২৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে দেশে ১ হাজার ১৪৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দৈনিক শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা গত ২৯ মের পর সবচেয়ে কম। সেদিন ১ হাজার ৪৩ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এরপর ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে দেশে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে এক দিনে শনাক্ত রোগী ১৬ হাজারও ছাড়িয়ে যায়।
গত এক দিনে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ২৭ মের পর সবচেয়ে কম। সেদিন ২২ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। খবর বিডিনিউজের।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারে দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকলে অগাস্ট মাসে এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা আড়াইশও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত কিছুদিন ধরে সংক্রমণের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে।
গত এক দিনে শনাক্ত নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০ জনে। তাদের মধ্যে ২৭ হাজার ৩৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এ রোগে। বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশে, যা আগের দিন ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ ছিল। দেশে সাড়ে ছয় মাস পর দৈনিক নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত কোভিড রোগীর হার গত মঙ্গলবার ৫ শতাংশের নিচে নেমে আসে।
গত এক দিনে শুধু ঢাকা বিভাগেই ৭৬৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা দিনের মোট শনাক্তের অর্ধেকের বেশি। যে ২৪ জন গত এক দিনে মারা গেছেন, তাদের ১১ জনই ছিলেন ঢাকা বিভাগের।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে দেশে সেরে উঠেছেন ১ হাজার ৬৫৩ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ৭ হাজার ৭৮৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে সারা দেশে মোট ২৪ হাজার ৮২০টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৯৫ লাখ ৫১ হাজার ৯৭০টি নমুনা। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১১ জন বাদে চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ জন, খুলনা বিভাগের ৩ জন, সিলেট বিভাগের ৩ জন এবং রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ১ জন। তাদের মধ্যে ১০ জন ছিলেন পুরুষ, আর ১৪ জন নারী। ১৯ জন সরকারি হাসপাতালে এবং ৫ জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅভিযোগ অস্বীকার করলেন প্রধান শিক্ষিকা ও শিক্ষা কর্মকর্তা
পরবর্তী নিবন্ধচমেকে করোনা রোগী কমে একশ’র নিচে