চমেকে করোনা রোগী কমে একশ’র নিচে

গুটিয়ে ফেলা হচ্ছে চারতলার ইয়েলো জোন নিজ ঠিকানায় ফিরছে নাক-কান-গলা বিভাগ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে রোগীর সংখ্যা কমে এখন একশ’র নিচে। রোগী কমে যাওয়ায় হাসপাতালের চারতলায় স্থাপন করা ইয়োলো জোনটি গুটিয়ে ফেলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণ ও রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে নিচতলার পাশাপাশি চারতলার নাক-কান-গলা বিভাগের কার্যক্রম অন্যত্র স্থানান্তর করে এই ইয়েলো জোন চালু করা হয়েছিল। ইয়েলো জোনে শয্যা সংখ্যা ছিল ৬৮টি। তবে ফ্লোরে বিছানা পেতে শতাধিক রোগীকে এখানে চিকিৎসা দেয়া হয়। বর্তমানে রোগী কমে যাওয়ায় চারতলার এই ইয়েলো জোনটি গুটিয়ে ফেলার কার্যক্রম চলছে। এতে করে নিজের ঠিকানা ফিরে পাচ্ছে নাক-কান-গলা বিভাগ।
বিভাগটি এতদিন চক্ষু বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিল। তবে ইয়েলো জোন গুটিয়ে ফেলার পর আগামীকাল শনিবার থেকেই নাক-কান-গলা বিভাগ নিজের ঠিকানায় স্বাভাবিক সেবায় ফিরছে বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। চারতলার ইয়েলো জোন গুটিয়ে সেখানে নাক-কান-গলা বিভাগের কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিক করণের নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ২২ সেপ্টেম্বর (বুধবার) হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আদেশে বৃহস্পতিবারের (গতকাল) মধ্যে ইয়েলো জোনটি গুটিয়ে ফেলতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারির তথ্য নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর আজাদীকে বলেন, রোগী কমে যাওয়ায় চারতলার ইয়েলো জোনটি আমরা গুটিয়ে ফেলতে নির্দেশনা দিয়েছি। ইয়েলো জোনের কার্যক্রম গুটিয়ে সেখানে নাক-কান-গলা বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিক করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের (গতকাল) মধ্যে গুটিয়ে ফেলার কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা। সে হিসেবে শনিবার থেকে নাক-কান-গলা বিভাগ তাদের আগের ঠিকানায় (ওয়ার্ডে) চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা চালু হয় চমেক হাসপাতালে। হাসপাতালের নিচতলায় জরুরি বিভাগের পার্শ্ববর্তী প্রাথমিকভাবে একশ শয্যায় এ চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা হয়। পরবর্তীতে শয্যা সংখ্যা দুইশ করা হয়। তবে সংক্রমণ ও রোগীর চাপ অতিরিক্ত বেড়ে গেলে করোনা ইউনিটের শয্যা সংখ্যা ৩০০ করা হয়। উচ্চ সংক্রমণকালীন সময়ে ৩০০ শয্যার করোনা ইউনিটে প্রায় সাড়ে তিনশ রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয় চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে বেশ কিছুদিন ধরে সংক্রমণ ও রোগীর চাপ কমছে চট্টগ্রামে। এর প্রেক্ষিতে চারতলায় স্থাপন করা ইয়েলো জোনটি গুটিয়ে ফেলার কার্যক্রম চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমে মাসের পর দেশে সর্বনিম্ন শনাক্ত ও মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধমামলা জটিলতায় বেতন আটকা আউটসোর্র্সিংয়ের ৩৬ কর্মচারীর