মা বেঁচে থাকুক অনন্তকাল সন্তানের হৃদয় জুড়ে

শামু দে | শুক্রবার , ২২ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

আমার মা আমার পৃথিবী। প্রতিটি সন্তানের কাছে মা এক অমূল্য সম্পদ। যার তুলনা মা নিজেই। মাকে বাদ দিয়ে সন্তানের জীবন প্রদীপ কল্পনার বাহিরে। সেই মা যখন পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে তখন সন্তানের যাপিত জীবন হয় বিশাল এক শূন্যতায় ভরা অনুভূতির অনুভব। সন্তানের জীবনে প্রতিটি মুহূর্ত হয়ে উঠে দুঃখের পরাকাষ্ঠে নিমজ্জিত। ঠিক এমনি করে জীবনের দীর্ঘ ৬টি বছর অতিক্রম করছি মায়ের অনুপস্থিতির শূন্যতার কাছেই। আমার মমতাময়ী মা পারুল রানী দে ছিলেন একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। জন্ম ৭ জুন ১৯৪৪, মৃত্যু ২৭ এপ্রিল ২০১৬। দীর্ঘ শিক্ষাকতা জীবনে গড়ে তুলছেন অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী। যারা ছড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেশ ও মানুষের কল্যাণে। মায়ের মৃত্যুতে অসংখ্য শিক্ষার্থীর অফুরন্ত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নিজেকে এবং পরিবারে সকল ব্যক্তিবর্গকে করেছে গর্বিত। সন্তান হিসাবে মায়ের আশীর্বাদ ও ভালোবাসা জীবনকে করেছে মহিমান্বিত। ২৭ এপ্রিল ২০২২ মায়ের ৬ষ্ঠ মৃত্যু বার্ষিকী। স্মৃতিতে অম্লান ‘মা’। ‘নয়ন তোমারে পায়না দেখিতে রয়েছো নয়নে নয়নে’। চোখের আড়ালে থেকেও হৃদয় আলোকিত করে আছো আমাদের যাপিত জীবনের পথচলায়। মা, প্রতিটি সন্তানের জন্য আলোকবর্তিকা। আমাদের মাও ছিলেন ঠিক তেমনি একজন আলোকিত বাতিঘর। শিক্ষকতা পেশা,সংসার,সামাজিক কার্যক্রম, সাহিত্য, সংস্কৃতির এক অপূর্ব সমন্বয়ে মায়ের জীবন ছিল অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয়। আজকের ভোগবাদী সমাজে অনেক সন্তানেরা মায়ের এমনি শ্রম,ত্যাগকে ভুলে যায় অকপটে। কষ্ট হয় যখন মা-বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে হয়। জীবনের সুখ, স্বপ্ন সবকিছুই ভেঙে যায় সন্তানের এমনি আচরণের ভূমিকায়। শত বাঁধা অতিক্রম করে মা-বাবা হয়ে উঠুক আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আমাদের যাপিত জীবনে ভরে থাকুক আমাদের সকলের মা-বাবা। বিনম্র শ্রদ্ধা রইল মায়ের প্রতি। পরপারে ভালো থাকো ‘মা’।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমনকে শক্ত করো জয় তোমার হবেই
পরবর্তী নিবন্ধপরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের মহত্তম আয়োজন