জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের পর গত শুক্রবার চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে আসলে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভালবাসা এবং ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন চট্টগ্রাম–৮ আসনের সংসদ সদস্য আবদুচ ছালাম। ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত আবদুচ ছালাম এমপি অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের মুহূর্তটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এ সময়টা উপহার দিয়েছেন আমার এলাকার জনগণ। মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে জনগণের কাছে যাওয়ার, জনগণের ভালবাসা অর্জনের সুযোগটা পেয়েছি আমার নেত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনা ও প্রিয় নেতা চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর হাত ধরে। তাই আমি মহান রাব্বুল আলআমিনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। কৃতজ্ঞতা জানাই দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও আমার জনগণের প্রতি। গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমার রাজনৈতিক গুরু এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি প্রয়াত সকল আওয়ামী লীগ নেতাদের। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রেরণাকে সাথী করে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিল আমি স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা নিয়ে এলাকার সংসদ সদস্য নির্বাচনে অংশ নেব। আমার নেত্রী আমাকে দুই বার নৌকা প্রতীক দিয়েছিলেন, দল ও রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে নেত্রীর সিদ্ধান্তে আমি সরে দাঁড়িয়েছিলাম। মেঘে মেঘে বেলা কম হয়নি, বয়সটা অনেক হয়ে গেছে। এবার যদি আমি আমার কাজে মানুষের সন্তুষ্টি আদায় করতে পেরেছি কিনা যাচাই করতে না পারি, তবে আর পারব কিনা সে নিশ্চয়তা আমার ছিলনা। তাই নৌকা প্রতীক না পেলেও আমার নেত্রীর অনুমতি নিয়ে আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। কেটলি প্রতীকে স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে জনগণ আমাকে বিজয়ী করেছেন। আমি মানুষের এ ভালবাসার ঋণ তাদের কল্যাণে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে দিতে চাই। আমি এখন আরো বেশি উৎসাহিত, অনুপ্রাণিত ও প্রত্যয়ী। মানুষ আমাকে রায় দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে আমার কর্মধারা সঠিক। আমি সততা, নিষ্ঠা, মেধা ও শ্রম দিয়ে মানুষের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছি। এ কর্মধারা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত বয়ে নিতে চাই। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।