মজনুর চলে যাওয়ায় যে ক্ষতি হলো তা পুষিয়ে নেয়া কঠিন

ডা. মাহফুজুর রহমান | সোমবার , ৩ মে, ২০২১ at ৬:০৯ পূর্বাহ্ণ

আমারসহ আমাদের অনেকের প্রিয়, বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্ট-চট্টগ্রাম ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক সাখায়াওয়াত হোসেন মজনু হৃদরোগের কারণে মারা গেছে। মজনু ছিল মুক্তিযুদ্ধের একজন মৌলিক গবেষক।এলাকার যোদ্ধাদের কাছে, নির্যাতিতাদের ঘরে যেয়ে যেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতো। ৯৩ সালে ট্রাস্ট কর্তৃক প্রকাশিত, বাঙালির জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম বইটির তথ্য সংগ্রহ, তথ্য যাচাই বাছাই এ তার ভূমিকা অনেক। চট্টগ্রামের বিশেষ করে চট্টগ্রাম শহরের বধ্যভূমি ও নির্যাতন কেন্দ্রের তথ্য সংগ্রহে তার ভূমিকা ছিল খুবই বেশি। মুক্তিযুদ্ধের উপর তার বেশ কিছু মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ আছে। মজনুর মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা কাজের দারুণ ক্ষতি হয়ে গেল। মুক্তিযুদ্ধের সময় মজনু ছিল কিশোর। তখনো সে আমাদের হয়ে লিফলেট বিতরণ করতো, তথ্য সংগ্রহ করতো। তারো আগে পাকিস্তান আমলে ছিল আগ্রাবাদ স্কুল ছাত্রলীগের অন্যতম সংগঠক। তার মৃত্যুতে গবেষণা কেন্দ্রের সবাই আমরা শোকাহত। মজনুর চলে যাওয়ায় আমাদের গবেষণা কাজের যে ক্ষতি হলো তা পুষিয়ে নেয়া আমাদের পক্ষে কঠিন হবে। মজনু অনুবীক্ষণ ও স্বাস্থ্য চিন্তা পত্রিকার শুরুর দিকে থেকে অনেক বছর জড়িত ছিল। এই দুটি পত্রিকারও তার কাছে ঋণী। মজনুর স্ত্রী মর্জিনা আখতারও গবেষণা কেন্দ্রের একজন ট্রাস্টি। মর্জিনা এই শোক কাটিয়ে উঠুক- এটাই আমাদের সবার কামনা। আমরা সবাই শোকে দুঃখে মর্জিনার পাশে থাকবো।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাহানারা ইমাম : জ্যোতির্ময় মনীষা
পরবর্তী নিবন্ধসচেতন হই, নিজে বাঁচি, অন্যকে বাঁচাই!