ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম ২০ মে থেকে

প্রথম ধাপে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলাও আওতায়, বাড়ি বাড়ি যাবেন তথ্য সংগ্রহকারীরা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ৯ মে, ২০২২ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

তিন বছর পর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২০ মে থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ কার্যক্রম শুরু করবে সংস্থাটি। আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে এটাই হবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শেষ হালনাগাদ কার্যক্রম। প্রথম ধাপে দেশের ৬৪ জেলার ১৪০টি উপজেলায় এ কার্যক্রম শুরু করা হবে। বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলাও এ কার্যক্রমের আওতায় রয়েছে।

সেগুলো হলো, চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, কর্ণফুলী, লোহাগাড়া, পটিয়া, আনোয়ারা, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, রামু, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি সদর, মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রাঙামাটি জেলার রাঙামাটি সদর ও বান্দরবানের বান্দরবান সদর। এ ১৫ টি উপজেলায় ২০ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করবে ইসির নিয়োজিত কর্মীরা। এরপর ১০ জুন শুরু হয়ে পৃথক পৃথক তারিখে চট্টগ্রাম জেলার ৬টি উপজেলায় শেষ হবে নিবন্ধন কার্যক্রম। ২৩ জুন নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে সীতাকুণ্ড উপজেলায়, সন্দ্বীপে ২৯ জুলাই, কর্ণফুলীতে ১৪ জুলাই, লোহাগাড়ায় ৬ জুলাই, পটিয়ায় ৩ জুলাই এবং আনোয়ারায় ৮ জুলাই নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে। কক্সবাজার জেলার মহেশখালীতে ২১ জুলাই থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, রামুতে ২৩ জুন থেকে ১৯ আগস্ট, চকরিয়ায় ২৩ জুন থেকে ৪ সেপ্টেম্বর, কুতুবদিয়ায় ২৩ জুন থেকে ১৮ জুলাই চলবে নিবন্ধন কার্যক্রম।

খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছড়ি সদরে ১০ জুন থেকে ১১ জুলাই, মহালছড়িতে ১০ জুন থেকে ২০ জুন এবং লক্ষ্মীছড়িতে ২২ জুন থেকে ২ জুলাই চলবে নিবন্ধন কার্যক্রম। এছাড়া রাঙামাটি জেলার রাঙামাটি সদরে ১৮ জুন থেকে ২ জুলাই এবং বান্দরবান জেলার বান্দরবান সদরে নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে ১৫ জুন থেকে ৯ জুলাই পর্যন্ত। ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার সহকারী সচিব মো. মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অন্যান্য উপজেলার ভোটার কার্যক্রমও ধাপে ধাপে শুরু হবে।

এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। অর্থাৎ ১৬ বছর বয়সীদেরও তথ্য নেয়া হবে। যারা পরে বয়স ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন। তারা ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন ২০২৪ ও ২০২৫ সালে। এ কর্মসূচিতে ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটারের নাম কাটা ও আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের বিষয়েও কার্যক্রম গৃহীত হবে। নিবন্ধনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পূরণকৃত নিবন্ধন ফরম-২ এর সঙ্গে অনলাইন জন্মসনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অথবা এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা বা যেকোনো পাবলিক পরীক্ষা পাসের সনদের ফটোকপি দিতে হবে।

এছাড়া অন্যান্য কাগজপত্র যেমন নাগরিক সনদ, প্রত্যয়নপত্র/বাড়ি ভাড়া/হোল্ডিং ট্যাক্স/যেকোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধের রসিদের কপি জমা দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআম গাছে উঠে অজ্ঞান যুবক, উদ্ধার করল ফায়ার সার্ভিস
পরবর্তী নিবন্ধমেয়াদোত্তীর্ণ চার উপজেলায় জুলাইয়ে সম্মেলন