ভাসানচরে জাতিসংঘ প্রতিনিধি ও চার দেশের রাষ্ট্রদূত

শুনলেন রোহিঙ্গাদের কথা

| শনিবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৪৮ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার দ্বীপ ভাসানচরে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেছে জাতিসংঘ, চার দেশের রাষ্ট্রদূতসহ উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের বাসস্থান ঘুরে দেখেন এবং তাদের কথা শুনেন।

গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারে করে জাপান, চীন, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা দ্বীপে পৌঁছান বলে জানান নোয়াখালী ভারপ্রাপ্ত জেলার প্রশাসক মো. নাজিমুল হায়দার। নাজিমুল হায়দার সাংবাদিকদের বলেন, ভাসানচরে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেছেন। এ সময় তারা রোহিঙ্গাদের সুযোগসুবিধা নিয়ে আলাপআলোচনা করেন। খবর বিডিনিউজের।

একই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলও ভাসানচর পৌঁছান। সব মিলিয়ে মোট ১৬ সদস্য প্রতিনিধি দলে ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. নাজিমুল হায়দার এবং পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বিদেশি অথিতিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা শরণার্থী শিবিরের বিভিন্ন ক্লাস্টার পরিদর্শন করেন। রোহিঙ্গাদের কথা শুনেন। বিকেলেই তারা হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় ফিরেন বলে জানান ভারপ্রাপ্ত জেলা কর্মকর্তা।

প্রতিনিধি দলে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি ম্যাসদুপুই, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনারের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের অফিসারইনচার্জ সিমোন পার্চমেন্ট।

অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সালাহউদ্দিন, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের একান্ত সচিব মো. কায়ছারুল ইসলাম, পরিচালক৯ মোহাম্মদ নাজমুল হক, পরিচালক১৪ ডা. মোহাম্মদ মহিবুল হাসান।

বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে তিন হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে নৌ বাহিনী। বিভিন্ন ধাপে কঙবাজার থেকে এখানে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাঠকের আবদার রক্ষায় ব্যস্ত লেখক
পরবর্তী নিবন্ধশিশুসাহিত্যিকদের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে