শিশুসাহিত্যিকদের স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে

মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আনোয়ারা সৈয়দ হক

| শনিবার , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:৪৯ পূর্বাহ্ণ

কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেছেন, এখন চলছে ভাষার মাস। এগিয়ে আসছে স্বাধীনতার মাসও। দুই মাসের গুরুত্ব অনন্য। দুটো মাসকে ঘিরেই লেখকদের অধিকাংশ লেখালেখি আবর্তিত। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য নিঃস্বার্থ কাজ করেছেন। একজন বড় মাপের মানুষ ছিলেন তিনি। মহান এ ব্যক্তিত্বের নামে প্রবর্তিত শিশুসাহিত্য পুরস্কার যারা পেলেন তার সত্যিই ভাগ্যবান। যে কোন পুরস্কার আনন্দের, যে কোন পুরস্কার গৌরবের। আমি পুরস্কারপ্রাপ্তদ্বয়সহ সব শিশুসাহিত্যিকদের দেশ ও জাতির জন্য এবং স্বাধীনতার স্ব্বপ্নকে বাস্তবায়নে আরও নিবেদিত হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাই।

চট্টগ্রাম একাডেমি প্রবর্তিত অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতিঢাকা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব ড. মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, শিশুসাহিত্য একটি কঠিন কাজ। তিনি মাদ্রাজে শিশুসাহিত্যিকদের একটি মিলনমেলায় অংশ নিয়ে ২২ বছরের একজন শিশুসাহিত্যিকের সাথে কথোপকথনের বিষয় তুলে ধরে বলেন, শিশুসাহিত্য যারা করেন তাদেরকে গভীর পড়াশুনা করতে হবে।

বিভিন্ন ভাষা আতস্থ করতে হবে। শিশুসাহিত্য কখনো শিশুসাহিত্য হিসেবে আসবে না, এটি গভীর সাহিত্য থেকে আসতে হবে। শিশুসাহিত্যের জন্য শিশুসাহিত্যিকদের বহুমুখী লেখাপড়া শিখতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শব্দঘর সম্পাদক কথাসাহিত্যিক মোহিত কামাল, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, কবিশিশুসাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া, চট্টগ্রাম সমিতিঢাকার অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ নাছের, খালেদপুত্র স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির।

অনুভূতি ব্যক্ত করেন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুসাহিত্যিক দন্ত্যস রওশন (উপন্যাসনোটুর একটি রাইফেল), কবি চন্দ্রশিলা ছন্দা (কিশোরকবিতাগ্রন্থআমার আছে বিশাল আকাশ)

স্বাগত বক্তব্য দেন একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক কবি শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। সঞ্চালক ছিলেন আয়েশা হক শিমু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক কবি অরুণ শীল, কবি জিন্নাহ চৌধুরী, ছড়াকার রমজান মাহমুদ, লেখক জাহাঙ্গীর মিঞা, কবি শারুদ নিজাম, কলামিস্ট রেজাউল করিম স্বপন, লেখক এসএম মোখলেসুর রহমান, প্রাবন্ধিক বাসুদেব খাস্তগীর, কবি আবুল কালাম বেলাল, খালেদপুত্র মোহাম্মদ জোবায়ের ও মোহাম্মদ মুনির।

অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি প্রণেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হক চৌধুরী মুশতাককে স্মরণ করা হয় এবং একই সাথে চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আনোয়ারা সৈয়দ হক পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে নতুন বই যথাক্রমে নাসের রহমানের আকাশে রঙিন ঘুড়ি, আবুল কালাম বেলালের প্রিয় দেশ প্রিয় স্বাধীনতা, রশীদ এনামের একাত্তরের জলপুত্র, রেহেনা মাহমুদের দৃশ্যান্তরের গল্প, শিবুকান্তি দাশের মিলিটারে এলো গ্রামে, সুমি দাশের শেষ বিকেলের আলো, গৌরী ভট্টাচার্যের সাদা কালো দিন, ইফতেখার মারুফের রাসেল তোমাকে ভালোবাসি, জসীম উদ্দিন খানের মন রাঙাবো নতুন করে, লিপি বড়ুয়ার তোমার বসন্ত দিনে, সৈয়দ সেলিমা আক্তারের মনের সাথে যাই হারিয়ে, মোয়াজ্জেম হোসেনের সাতকানিয়া লোহাগাড়া মনীষা গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাসানচরে জাতিসংঘ প্রতিনিধি ও চার দেশের রাষ্ট্রদূত
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা