বোরোর বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত আনোয়ারার কৃষকেরা

২৩ হাজার ৫৩২ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্য

আনোয়ারা প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের মাধ্যমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৩ হাজার ৫৩২ মেট্রিক টন। ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২২০০ জন কৃষককে ৫ কেজি উফশী বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং ৪৫০০ জন কৃষককে ২ কেজি হারে হাইব্রিড ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস।

ইতোমধ্য বরুমচড়া, বারখাইন, চাতরি ও হাইলধরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো চাষ শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বোরো চাষে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। তবে আনোয়ারা ইছামতি, কৈখাইন নোয়ারাস্তা ছামদরিয়া খালসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খালের পানি নষ্ট হয়ে পড়ায় কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকদের মাঝে চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. সরওয়ার আলম জানান, আনোয়ারায় চলতি বোরো মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড আর ২০ হেক্টর জমিতে উফশী ধানের চাষ হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা বোরো চাষের জন্য বিভিন্ন ধানের বীজতলা তৈরি করেছেন। তারমধ্যে হাইব্রিড চমক-১, বিজলী-ইস্পাহানি, ১২০৫, এসএল ৮ এইচ, হিরা, এসিআই সেরা ১২০৩, টিয়া, সম্পদ ইত্যাদি জাতের ধান রয়েছে। উফশী বীজের মধ্যে ব্রি-ধান (১০০) বঙ্গবন্ধু ও ১০২ জাতের ধান ফলনে চমক সৃষ্টি করবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় শোলকাটা গ্রামের কৃষক মো. মহিউদ্দীন জানান, চলতি বোরো মৌসুমে গত সপ্তাহে ১ একর জমিতে বোরো ধানের বীজ রোপণ করেছি, আরো ৩ একর জমিতে বোরো চাষের প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরো জানান, বর্তমানে বোরো চাষে অনেক খরচ বেড়েছে। প্রতি কানি জমি চাষে ৪ হাজার টাকার বীজ রোপন করতে হয়। একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরী ৭০০ টাকা, এক কানি জমির সেচ খরচ ২ হাজার, সার ২ হাজার, আর নিড়ানী খরচও ২ হাজারের কম নয়।

আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী জানান, এ বছর আনোয়ারায় বোরো চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯৭০ হেক্টর। তার মধ্যে হাইব্রিড ১৮৫৫ হেক্টর জমি আর উফশী ৪১১৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হবে। এতে হাইব্রিড হেক্টর প্রতি ৪.৭ মে. টন আর উফশী ৩.৬ মে. টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুসারে চলতি বুরো মৌসমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২৩৫৩২.৫ মে. টন নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে মৌসুমে রবি শস্য (গম, ভুট্টা, সূর্যমুখী, সরিষা, চীনাবাদাম, শীতকালীন মুগ, খেসারী) প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ৩৬০ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদিন-দুপুরে মুখোশধারীদের হামলা, দুই ভাই গুলিবিদ্ধ
পরবর্তী নিবন্ধফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় লবণ বোঝাই কার্গোবোট ডুবি