বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাটাবেইজে কোভিড নিয়ে বিআইটিআইডি ও চবির শিক্ষকদের গবেষণা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে হাসপাতালে ভর্তিকৃত কোভিড (করোনা) রোগীদের হেমাটোলজিক্যাল ও প্রদাহজনিত বিভিন্ন প্যারামিটার বিশ্লেষণে পরিচালিত এক গবেষণা ঠাঁই করে নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)’র ডাটাবেইজে। ‘হেমাটোলজিক্যাল এন্ড ইনফ্লেমাটরি প্যারামিটারস ইন হসপিটালাইজড পেশেন্টস উইথ কোভিডনাইনটিন ইনফেকশান ইন চট্টগ্রাম’ শিরোনামে গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রফিক্যাল ইনফেকসাস ডিজিসেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন চিকিৎসকশিক্ষক। গবেষক দলে রয়েছেন বিআইটিআইডির রিসার্চ অফিসার রাকিবুল হাসান বুলবুল, বিআইটিআইডির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ, সহকারী অধ্যাপক মো. জাকির হোসাইন, রিসার্চার (বর্তমানে হাঙেরিতে অধ্যয়নরত) কাজী ইশরাক ফাইয়াজ, চবির ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. গিয়াস উদ্দিন, মো. রাশেদুল ইসলাম, মো. আশরাফুল আলম, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. লোকমান।

গবেষকরা জানান, গবেষণাটির লক্ষ্য ছিলো চট্টগ্রামে কোভিড১৯ সন্দেহে পরীক্ষা করতে আসা অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হেমাটোলজিকাল এবং প্রদাহজনিত মার্কারের (প্যারামিটার) তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা।

আঠারোর্ধ ২৪৮ জন নারীপুরুষের উপর এ গবেষণা চালানো হয়। এর মধ্যে কোভিড১৯ পজিটিভ ছিলন ১৭০ জন (পুরুষ ৬২.৭৮ % এবং মহিলা ৩৭.২২ %)। বাকি ৭৮ জন কোভিড১৯ নেগেটিভ হিসেবে শনাক্ত হন।

কোভিড১৯ পজিটিভ রোগীদের মধ্যে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, গন্ধহীনতা বা স্বাদহীনতা এবং মাথাব্যথা উপসর্গসূমহ উল্লেখজনকভাবে লক্ষ্য করা গেছে। গবেষণাটির ফলাফল অনুযায়ী, কোভিড১৯ নেগেটিভ রোগীদের তুলনায় কোভিড১৯ পজিটিভ রোগীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের হেমাটোলজিকাল এবং প্রদাহজনিত মার্কার (হেমাটোক্রিট (ঐঈঞ), গড় প্লাটিলেট ভলিউম (গচঠ), নিউট্রোফিলস, ইএসআর, সিআরপি, ডিডাইমার, সেরাম ফেরিটিনিন) উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি ছিল।

অপরদিকে হিমোগ্লোবিন ও প্লাটিলেটের সংখ্যা কোভিড১৯ পজিটিভ রোগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে কম মাত্রায় লক্ষ্য করা যায়। গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল অনুসারে কোভিড১৯ পজিটিভ রোগীদের মধ্যে মহিলাদের কোভিড১৯ মাত্রা পুরুষদের তুলনায় বেশি ছিলো। গবেষণাটিতে কোভিড১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় হেমাটোলজিকাল এবং প্রদাহজনিত পরিমিতি (প্যারামিটার) বিবেচনা করার পরামর্শ দেয়া হয়। চট্টগ্রামের কোভিড১৯ রোগীদের হেমাটোলজিকাল এবং ইনফ্ল্যামেটরি প্যারামিটার নিয়ে গবেষণাটি প্রথম যা ‘জার্নাল রিসার্চ ইন ফার্মেসি’ শীর্ষক জার্নালে প্রকাশিত হয়। অতি সম্প্রতি এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড১৯ গবেষণা ডাটাবেইজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধউপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হোন