উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হোন

কোস্ট গার্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

| মঙ্গলবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্রে অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের (বিসিজি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরবাংলা নগরে কোস্ট গার্ড সদরদপ্তরে বিসিজির ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বিসিজি ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এ বাহিনীর (বিসিজি) মূলমন্ত্র হলো ‘সমুদ্রের অভিভাবক’ যার অর্থ উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। প্রধানমন্ত্রী অনেক অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করে উপকূলের নিরীহ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে কোস্ট গার্ড সসদ্যদের ব্যাপক প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সরকার তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসহ কোস্ট গার্ডকে আধুনিক ও যুগোপযোগী বাহিনীতে রূপান্তরে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানসহ কোস্টগার্ড একটি উন্নত ও শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হোক। খবর বাসসের।

তিনি বলেন, সরকার কক্ষপথে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট১ উৎক্ষেপণ করেছে। এই স্যাটেলাইটের সাথে সংযোগ স্থাপন করে কোস্টগার্ডের যোগাযোগ পদ্ধতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি (স্যাটেলাইটের সাথে সংযোগ স্থাপন) ব্যবহার করে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি। প্রধানমন্ত্রী একটি বোতাম টিপে লক্ষ্মীপুরে বিসিজি’র নবনির্মিত স্থাপনা উদ্বোধন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বিসিজির মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বাহিনীতে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালকসহ বেশ কয়েকজন বিসিজি সদস্যের হাতে পদক তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। এছাড়া কোস্টগার্ডের কর্মকাণ্ড নিয়ে বানানো একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও তথ্যচিত্রও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গোপসাগর ও বহু নদী বরাবর বাংলাদেশের রয়েছে বিস্তীর্ণ উপকূলরেখা। তিনি বলেন, আপনারা বিসিজির সদস্যরা আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং উপকূলীয় এলাকার লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র ও নদীদূষণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, পণ্য ও আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান, মানব পাচার, জলদস্যুতা ও অবৈধ মাছ ধরা প্রতিরোধে কোস্টগার্ড সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এ বাহিনী ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উপকূলীয় অঞ্চলের দুস্থ ও অসহায় মানুষদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং এভাবে জনগণের আস্থা অর্জন করে তাদের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে।

তিনি আরো বলেন, এই বাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী করতে আমরা উচ্চ প্রযুক্তির জাহাজ, নৌ নজরদারি পদ্ধতি, হোভারক্রাফট ও উচ্চগতির নৌযান চালু করতে যাচ্ছি। এছাড়া কোস্টগার্ডকে আরও চারটি ওপিভি, গভীর সমুদ্রে টহল দেয়ার জন্যে নয়টি প্রতিস্থাপনকারী জাহাজ এবং দুটি মেরিটাইম সংস্করণের হেলিকপ্টার নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডাটাবেইজে কোভিড নিয়ে বিআইটিআইডি ও চবির শিক্ষকদের গবেষণা
পরবর্তী নিবন্ধসাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী রেজা আলীর ইন্তেকাল