সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী রেজা আলী সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে বিটপী গ্রুপের
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। খবর বিডিনিউজের। বিটপী গ্রুপের কর্ণধার এই প্রবীণ ব্যবসায়ী বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ময়মনসিংহ ৭ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা আজ মঙ্গলবার বাদ জোহর সিঙ্গাপুরের মসজিদ আল–ফালাহ’য় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বুধবার রেজা আলীর মরদেহ ঢাকায় আনার পর সেদিন বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে দ্বিতীয় এবং বাদ আসর বসুন্ধরার কেন্দ্রীয় মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরদিন বৃহস্পতিবার বাদ জোহর ময়মনসিংহের ত্রিশালের নজরুল একাডেমিতে ও বাদ আসর ত্রিশালের ধনিখোলায় নামাজে জানাজা হবে। এরপর ওই দিন বিকালে ত্রিশালে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ব্যবসা ও রাজনীতিসহ বহুমুখী কর্মময় জীবনে রেজা আলী সামাজিক–সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত ছিলেন। ১৯৬৮ সালে তিনি বিটপী অ্যাডভার্টাইজিং প্রতিষ্ঠান করেন। রেজা আলীর জন্ম কুমিল্লায় ১৯৪০ সালের ১০ এপ্রিল। তার বাবা তোফাজ্জল আলী ও মা সারাহ আলীর বড় ছেলে তিনি। টি আলী নামে পরিচিত তার বাবা পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রী, মিশরের রাষ্ট্রদূত ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। ঢাবি থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে পড়ালেখা করেন রেজা আলী। ১৯৬০ সালে আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনে গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক বছর কারাবাস করেন তিনি। প্রাদেশিক সম্মেলনে গঠিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।