নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার কাদেরী চেম্বারে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিএমসিসিআই) নতুন কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি খলিলুর রহমান। তিনি এ সময় বলেন, ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা দেখার জন্য মেট্রোপলিটন চেম্বার গঠিত হয়েছে। এখানে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় বড় ব্যবসায়ীরা আছেন। আমরা মেট্রোপলিটন চেম্বারের নিজস্ব ভবন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আশা করি আমরা এটি করতে পারবো।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিএমসিসিআই সভাপতি বলেন, সারাবিশ্বে এখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। এর প্রভাবে আমাদের দেশেও দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছি। এটি ডলার সংকটের কারণে। দেশে আমদানি কিন্তু বন্ধ হয়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বড় বড় এলসির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যারা ৫ লাখ ডলারের এলসি করতে চেয়েছে, তাদের অর্ধেক দিয়েছে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও সিএমসিসিআইর সহ–সভাপতি এম এ মালেক বলেন, চট্টগ্রামের মূল ব্যবসায়ীরাই শুধুমাত্র এই মেট্রোপলিটন চেম্বারের সদস্য। আজ (গতকাল) আমরা অস্থায়ী অফিস উদ্বোধনের জন্য সবাই একত্রিত হয়েছি। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে–আমাদের নিজস্ব জায়গায় ভবন নির্মাণ করা। আমি আশা করছি মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতিসহ সকলের সহযোগিতায় শিগগিরই আমরা নিজস্ব ভবনে অফিস নির্মাণ করবো।
দি পূর্বকোণ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সিএমসিসিআইর সহ–সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের জন্যই মেট্রোপলিটন চেম্বার গঠিত হয়েছে। চট্টগ্রামের স্বার্থে মেট্রোপলিটন চেম্বারের সকল ব্যবসায়ীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।
সিএমসিসিআইর সহ–সভাপতি এএম মাহবুব চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে পণ্যের শুল্কায়নের এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ব্যবসায়ীদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ফলে পণ্য খালাস করতে বিলম্ব হয়। এর প্রভাব পড়ে পোর্ট ডেমারেজ ও শিপিং ডেমারেজ দিতে হচ্ছে। পরোক্ষভাবে এর প্রভাবে পণ্যের দাম বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে আমরা একাধিকবার বলেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিএমসিসিআইর সহ–সভাপতি মো. আবদুস সালাম, পরিচালক মো. আব্দুল আউয়াল, মো. আমিনুজ্জামান ভূঁইয়া, প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ এবং প্রফেসর জাহাঙ্গীর চৌধুরী, বিএসআরএম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর তপন সেনগুপ্তসহ প্রমুখ।