হেমন্তের বুক জুড়ে সোনালি ধানের ঘ্রাণ
আসে নবান্ন, হাসে নবীন প্রাণ,
দিগন্তের সীমানায় চুমু খায় বাউরী বাতাস
যেন মিলেমিশে একাকার নদী ও আকাশ।
খুব করে ভালোলাগা পেয়ে বসে
আলিঙ্গনে বাঁধতে চায় বারবার
জোড়া শালিকের খুনসুটি দেখি
দেখি সবুজ ঘাসের বুকে শিশিরের হাহাকার।
ক্যালেন্ডারের পাতার মতো উল্টাই প্রতীক্ষার প্রহর,
আঙুলের কড় গুনে মিলিয়ে নেই দিন, মাস, বছর
জীবন যেন বহতা নদী
দুদণ্ড ফিরে তাকাবার নেই অবসর।
দ্বিধা আর শংকায় কাটে সময়
হাতের মুঠোয় পেয়েও হারিয়ে ফেলি পার্থিব সুখের জীয়নকাঠি
তবুও অনাগত দিনের হাতছানি
ডেকে যায় মানবিক মায়ায় অথবা ফেলে আসা স্মৃতির কায়ায়।
উত্তুরে হাওয়া কাঁদে বিবাগী মন
একে একে চলে যায় সব ঋতু, সব কাল
আমি শুধু আমাতে হারাই
ঝরা পাতার শোক বুকে নিয়ে এগিয়ে যাই সমুখে
সময়ের পদচিহ্নে একে দেই বিদায়ী সূর্যের চুম্বন।