বিএনপি-জামায়াত নেতিবাচক রাজনীতি না করলে দেশ অনেক এগিয়ে যেত : তথ্যমন্ত্রী

‘না বলতে বলতে বিএনপিটা কখন নাই হয়ে যায়’

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের দল বিএনপি ও জামায়াত বাংলাদেশে যদি নেতিবাচক রাজনীতি না করত এবং স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র না করত তাহলে বাংলাদেশ আরও অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে অনুরোধ জানাব, উনি শিক্ষিত লোক হয়ে যেন অশিক্ষিতের মতো কথা না বলেন।
গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের রজতজয়ন্তী এবং ২৪ ঘণ্টার সম্প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিএনপি যাবে না বলা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি দেখতে পাচ্ছি বিএনপির মধ্যে একটা না রোগ দেখা দিয়েছে, সবকিছুতেই ‘না’ বলা। সংলাপে যাবে না, নির্বাচনে যাবে না, এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও যাবে না। এখন আমি আশঙ্কার মধ্যে আছি, না না বলতে বলতে বিএনপিটা কখন ‘নাই’ হয়ে যায়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আগে তিনবার দেশ পরিচালনা করেছেন। এখন চতুর্থবার দেশ পরিচালনা করছেন। এ সময়েই দেশের অগ্রগতি-উন্নতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়, তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সেই জিডিপি গ্রোথ রেট এখনো আমরা অতিক্রম করতে পারিনি।
বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি, বরং পেছনের দিকে চলে যাচ্ছে-বিএনপির মহাসচিবের এমন বক্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে আমি জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমান মানুষ বলে জানতাম। কিন্তু দলকানা হতে গিয়ে তিনি এ রকম বুদ্ধিহীন হয়ে গেছেন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন, এটা আমাকে আশ্চর্য করেছে।
তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ যেভাবে এগিয়েছে, এটি পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। বাংলাদেশ সব সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। ১৯৭০-৭১ সালে পাকিস্তান আমাদের চেয়ে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে ছিল। মাথাপিছু আয় ৫০ শতাংশ বেশি ছিল। সেই পাকিস্তান আজ মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিক সূচকসহ সব ক্ষেত্রে আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়েছে। এমনকি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে আমরা ভারতকেও অতিক্রম করেছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগে বাংলাদেশে শতকরা ৪১ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। সেটি এখন ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এগুলো আমার বক্তব্য নয়, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফসহ বিশ্ব সমপ্রদায়ের বক্তব্য। তাদের সমীক্ষায় এগুলো উঠে এসেছে। এসব যখন বিএনপির মহাসচিব দেখতে পান না, তখন দলকানা হওয়ার কারণে তিনি দেখেও দেখেন না, বুঝেও বোঝেন না এবং স্বীকার করেন না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবেসরকারি স্কুল ভর্তি লটারির ফল প্রকাশ, ভর্তি কার্যক্রম শুরু সরকারি স্কুলের
পরবর্তী নিবন্ধভর্তিযুদ্ধ ও তদবির বন্ধে সব মাধ্যমিক স্কুলে লটারি : শিক্ষামন্ত্রী