ভর্তিযুদ্ধ ও তদবির বন্ধে সব মাধ্যমিক স্কুলে লটারি : শিক্ষামন্ত্রী

| সোমবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

শিক্ষার্থীদের উপর চাপ কমাতে এবং তদবির বন্ধে দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এখন থেকে লটারির মাধ্যমে ভর্তি করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গতকাল রোববার ঢাকার জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা অ্যাকাডেমি (নায়েম) মিলনায়তনে বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী ভর্তির ডিজিটাল লটারির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা জানান। খবর বিডিনিউজের।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত বছর মহানগরীতে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী লটারি করে ভর্তি করা হয়েছিল। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা যেহেতু চালু হয়েছে, প্রতিবছরই এটা থাকবে। গত বছর করা হয়েছিলে মহানগরে। এবার জেলা পর্যায়ে লটারি করা হয়েছে। উপজেলাগুলো লটরির আওতায় আনিনি। আগামীতে সব প্রতিষ্ঠান লটারির আওতায় আসবে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ভর্তির ক্ষেত্রে আগে আমরা যা দেখতাম, সেটা ভর্তিযুদ্ধ। এই রকম যুদ্ধ থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। যেসব নেতিবাচক চর্চাগুলো রয়েছে, তা থেকে বেরিয়ে ইতিবাচক চর্চার চেষ্টা করছি। স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা শিশুদের উপর প্রচণ্ড মানসিক চাপ তৈরি করে বলে মনে করেন দীপু মনি। এর ফলে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। এর মধ্যে একটি অনৈতিক বিষয়ও জড়িয়ে যায়। অনেক রকম তদবিরের চাপ থাকে।
এ থেকে উত্তরণের পথ আগে থেকে খুঁজছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, এই নেতিবাচক চর্চা দূর করার জন্য আগে থেকেই ভাবছিলাম। কী করে এ থেকে উত্তরণ করব। ঠিক সেই সময় করোনা এসে গেল। করোনাভাইরাস না এলেও আমরা লটারির কথা ভেবেছিলাম। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ফলে কোচিং বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে দাবি করেন দীপু মনি।
তিনি বলেন, স্কুলে ভর্তিযুদ্ধ তো হয়ই, আমাদের উপরও যুদ্ধ চলে আসে। সব কিছু পড়ে বেশি নম্বর পেয়ে যদি স্কুলে ভর্তি হতে হয়, তাহলে স্কুলের কৃতিত্বটা কী? কম নম্বর পাওয়া একজন শিক্ষার্থীকে পড়িয়ে সে বেশি নম্বর পেলে সেটাই শিক্ষকের কৃতিত্ব।
শ্রেণিকক্ষের আকৃতির পরিবর্তন, মিড ডে মিল ও মেয়েদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ানোর পরিকল্পনাও সরকার হাতে নিয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি-জামায়াত নেতিবাচক রাজনীতি না করলে দেশ অনেক এগিয়ে যেত : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধখুলল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার