বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে পার্কের সীমানা দেয়াল

যৌথ অভিযানে, ২৬টি শ্যালো মেশিন ও ১৫শ ফুট পাইপ ধ্বংস

চকরিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে টনক নড়েছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের। পার্কের সীমানা দেয়াল ঘেঁষে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর পাহাড়ি টিলা ও সমতল ভূমির মাটি কেটে অসংখ্য শ্যালো মেশিন বসিয়ে ভূ-গর্ভস্থ বালু উত্তোলনের কারণে হুমকির মুখে পড়া পার্কের সীমানা দেওয়াল রক্ষায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় পার্ক লাগোয়া বনভূমি থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ২৬টি শ্যালোমেশিন জব্দের পর তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একইসাথে নষ্ট করে দেওয়া হয় অন্তত দেড় হাজার ফুট বড় সাইজের পাইপ।
ভয়াবহ পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড বন্ধে উপজেলা প্রশাসন, সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ, বনবিভাগ যৌথভাবে এই অভিযান চালায় গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত। অভিযান পরিচালনা করা হয় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পাগলির বিল, সাফারি পার্ক লাগোয়া রংমহলের দাঙ্গারবিল, খুটাখালী ইউনিয়নের মধুরশিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাহাত উজ-জামান। এ সময় সাথে ছিলেন বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ সাফারি পার্ক, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী ও ফুলছড়ি রেঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারী। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে জানান, গত দুইবছর ধরে পার্কের লাগোয়া সংরক্ষিত বনাঞ্চলের রংমহলের দাঙ্গারবিল, পাগলির বিলসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি টিলা ও সমতল ভূমির মাটি অপসারণের পর অসংখ্য শ্যালোমেশিন বসিয়ে ভূ-গর্ভস্থ বালু উত্তোলন করে আসছিলেন প্রভাবশালীরা। ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করা হলেও পরিবেশ বিধ্বংসী এসব কর্মকাণ্ড রোধ করা যাচ্ছিল না। সর্বশেষ উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যাতে পার্কের বিশাল অংশের সীমানা দেওয়াল রক্ষা পায়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহাত উজ-জামান বলেন, পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এবারের অভিযানের পর যদি ফের অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয় তাহলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জড়িতদের বিরুদ্ধে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ এলাকায় মাটি উত্তোলন
পরবর্তী নিবন্ধসাংগ্রাই উৎসবে জলকেলি