বাবুলের বর্তমান স্ত্রী মোশাররফের বাসায় গিয়েছিলেন ডিসেম্বরে

মিতু হত্যা

| মঙ্গলবার , ২৩ মে, ২০২৩ at ৭:১৩ পূর্বাহ্ণ

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার গ্রেপ্তারের পর গত ডিসেম্বরে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেনের বাসায় গিয়েছিল তার দুই নাতিনাতনি ও বাবুলের বর্তমান স্ত্রী। সেদিন ছিল মিতুবাবুল দম্পতির মেয়ের জন্মদিন। এর পরদিন মোশাররফ হোসেনের বাসায় বাবুলের এক ভাই, ভাবি ও বাবুলের বোনও গিয়েছিল বলে জেরার জবাবে তিনি আদালতে জানিয়েছেন। গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে পঞ্চম দিনের মত তাকে জেরা করা হয়।

বাবুলের আইনজীবী কফিল উদ্দিন জেরায় বলেন, ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা, লালনপালন, লেখাপড়াসহ সব দায়িত্ব পালন কঠিন হওয়ায় মিতুর মৃত্যুর চার বছর চার মাস পর ২০২০ সালের অক্টোবরে বাবুল আক্তার একজন বিধবা মহিলাকে বিবাহ করেন। শর্ত অনুযায়ী তারা এই সংসারে কোনো সন্তান গ্রহণ করেননি। বিবাহের শর্ত ছিল যে, বাবুলের ছেলেমেয়েরা যেদিন তার প্রতি অসন্তুষ্ট হবে, সেদিনই তালাক হবে। তিনি বাবুলের স্ত্রী হিসেবে অদ্যাবধি আছেন। বাবুলের সন্তানরা তাকে ‘মা’ ডাকে? জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, আমার জানা নেই।

আইনজীবী কফিল উদ্দিন বলেন, বাবুলের বর্তমান স্ত্রী আপনাকে বাবা ডাকে। উত্তরে মোশাররফ বলেন, ইহা সত্য নহে। এরপর আইনজীবী কফিল উদ্দিন একটি ছবি দেখিয়ে বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাবুলের মেয়ের জন্মদিনের দিন বাবুলের ছেলেমেয়ে ও বর্তমান স্ত্রী আপনার ঢাকার বাড়িতে গিয়েছিল। আপনারা একসাথে জন্মদিনের কেক কাটেন। এই সেই ছবি, যাতে আপনার স্ত্রীও আছেন সবার সাথে।

জবাবে মোশাররফ বলেন, সেদিন নাতনির জন্মদিন ছিল। বাবুলের বর্তমান স্ত্রী মোবাইলে ফোন করে মিতুর ছেলেকে আমার সাথে কথা বলতে দেয়। তারাই ফোন করে এসেছিল। পরদিন বাবুলের ভাই, তার স্ত্রী ও বাবুলের বোন আসে আমার বাসায় কেক নিয়ে।

যেদিন মিতুবাবুলের সন্তানরা তার বাসায় গিয়েছিল, সেদিন তারা রাতে সেখানে ছিল কি না জানতে চাইলে মোশাররফ বলেন, ছিল কি না স্মরণে নেই। পরে আরও একবার তারা এসেছিল। এর আগে ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন মোশাররফ। সেই মামলায় তখন বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে মোশাররফ হোসেন দাবি করছেন, মিতুর ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। নাতিনাতনিদের নিজের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদনও করেছেন মোশাররফ। সোমবারের জেরায় কফিল উদ্দিন প্রশ্ন করেন, যখন আপনার বাসায় গিয়েছিল, ওই সময় বাবুলের দুই সন্তান বলে– ‘নানু, আপনিই তো শিখিয়েছেন, বাবাই আমাদের মাবাবা দুটোই। এখন কেন বাবার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন? তখন আপনি তাদের বলেন, ভাই তোমরা বুঝবে না। কঠিন চাপে আছি। তোমাদের বাবার বিরুদ্ধে সাক্ষী না দিলে আমি ও তোমাদের নানু দুজনই জেলে যাব, পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যাবে’। জবাবে মোশাররফ হোসেন বলেন, এরকম কিছু বলিনি। ইহা সত্য নয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্মার্ট ভূমিসেবার অন্যতম অনুষঙ্গ সুশাসন : ভূমিমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা